শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১২, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

প্রিয় নেত্রী! সালাম ও শুভেচ্ছা। বহু দিন ধরেই আপনাকে একটি কথা বলব বলে মনের মধ্যে শব্দমালা গাঁথার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো উপলক্ষ পাচ্ছিলাম না। গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট্ট একটি সংবাদ পাঠ করার পর মনে হলো কথাটি এখন আর না বললেই নয়। নবম সংসদে আপনার দলীয় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জীবনে বিরল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছিল।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো হিসেবে দেশে এবং বিদেশে অনেকগুলো সভা-সমিতি এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন অনেকগুলো এনজিও, বিদেশি পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি, চুমকী আপু এবং পাপিয়া প্রায় এক মাস সুইডিশ পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে সুইডেন ভ্রমণ করি। আইপি ইউর অর্থায়নে আমরা সুইডেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, মাতৃমঙ্গল এবং শিশু কল্যাণ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করি। সুইডেন থেকে ফেরার পর আমার কেবলই মনে হতে লাগল, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের জন্য অবশ্য করণীয় এমনতরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আজ অবধি শুরু করতে পারিনি।

আমাদের দেশের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমার কেন জানি মানুষের অমরত্ব লাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন কীর্তি কাহিনী মনের পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে আরম্ভ করল। মহামতী সাইরাস, জুলিয়াস সিজার কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অমরত্বের রহস্য কি সাগরের ওপর কুড়িমাইল লম্বা একখানা ব্রিজ, প্রবল খরস্রোতা রাইন নদীর ওপর একখানা পুল নির্মাণ কিংবা ফ্রান্সের সম্রাট হওয়ার মধ্যে নিহিত! নাকি অন্য কিছু? ভারতের চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কিংবা শেরশাহ তাদের কারও কোনো নির্মাণশৈলী আজ আর অবশিষ্ট নেই। আমরা জানি না বনু আমালিক, আদ ও সামুদ জাতির সেসব নেতার নাম সারী পাহাড়ের গা খোদাই করে পেত্রা নগরী নির্মাণ করেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীর, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, রোডস দ্বীপের মন্দির এবং পিরামিড নির্মাণকারী ফেরাউনদের খোঁজখবর রাখার লোকজনই বা কয়জন আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।

ইতিহাসের অনাদিকালের উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত যদি সত্য হয় তবে এ কথা নিশ্চিত যে, হাতিরঝিল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বিদ্যুত্ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মেট্রোরেল, ওভারব্রিজ, লুই কানের নকশা মোতাবেক নতুন সচিবালয় নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, বিস্ময়কর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কর্মের জন্য আপনি অমরত্ব পাবেন না। মানুষ প্রথাগতভাবেই এসব ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের জিনোম আবিষ্কার এবং বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উত্পাদন আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দশমিনার ভুতুমচরে এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থলসীমানা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময়ের সফলতার জন্য অনাগত ভবিষ্যত্ যেমন আপনাকে স্মরণ রাখতে বাধ্য হবে তেমনি পুরান ঢাকার নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারানো দুটো অসহায় মেয়েকে দত্তক গ্রহণ, ধর্ষিত পূর্ণিমাকে নিজের মেয়ের মর্যাদায় লালন-পালনসহ আপনার অনেক গোপন দান-খয়রাত জমিনের বুকে সদগায়ে জারিয়ারূপে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আত্মাকে প্রশান্তি দান করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি হয়তো এতক্ষণে আমার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং মনে মনে ভাবছেন— নিন্ধকার ধান ভানতে শিবের গীত আরম্ভ করেছে। অন্যদিকে আপনি যদি মনে করেন আপনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য তার নেত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথামতে আপনার রাগান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনাকে পত্র লিখতে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার মাত্রাজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমি আপনাকে অনেক কিছু বলার ভরসা পাই— সাহসেরও কোনো অভাব হয় না। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং কাজ করার পদ্ধতির কারণেই হয়তো সেই নির্ভরতার জায়গাটুকু আপনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আপনার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো— তারা আপনাকে চিনে না, চেনার চেষ্টা করেনি এবং সম্ভবত করবেও না।

অন্য কেউ না জানলেও আমি জানতাম যে, ২০০৯ সাল থেকেই আপনি বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের দেশীয় এজেন্ট এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের কারণে আপনার যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছিল তেমনি ওই সুযোগে বিশ্বব্যাংক নামক পশ্চিমা শক্তির হাতিয়ারটি আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। নবম পার্লামেন্টের অধীনে গঠিত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমলা সম্পর্কে বহুমুখী অভিযান সর্বমহলে সমালোচিত হতে থাকে। আশার কথা হলো— বর্তমান সরকারে আপনি বলতে গেলে অতীতের অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে বাদ দিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতা, মহাজোটের ভিতরকার যোগ্যতম লোকদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া এবং ১/১১’র সময়ে সংস্কারবাদী বলে সমালোচিতদের ক্ষমা করার বিষয়ে আপনার শুভার্থীদের দাবির প্রতিও আপনি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আর এ কারণেই আপনাকে কথা বলতে ভরসা পাই—

পত্রের শুরুতেই বলেছিলাম যে, পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে মনের ভিতরকার কথাগুলো অকপটে বলার জন্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, সরকার বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সরকারি খরচে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। টাঙ্গাইল জেলার একলাখ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জনগণ বীমার আওতায় চিকিত্সা সুবিধা পাবে ৫০০ কোটি টাকার সমমূল্যের। দেশের শীর্ষ একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে আগামী দিনে হয়তো স্বাস্থ্যবীমার কর্মপরিধি বিস্তৃত হবে।

মাননীয় নেত্রী! আপনার উপরোক্ত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারবেন। আপনার সরকার জনপ্রিয়তা পাবে এবং আপনার শত্রুরা পরাজিত হবে। মিসরে গিয়ে দেখলাম হোসনি মোবারকের রুটি বিতরণ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা। সুইডেন আজ নিরাপদ মাতৃত্ব, নিরাপদ গর্ভধারণ ও প্রসব, নবজাতক এবং প্রসূতি মায়ের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর এক নম্বর রোল মডেল। অন্যদিকে, নতুন একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে তুরস্ক আজ পৃথিবীর এক নম্বর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশ। গত ১০ বছরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তুরস্ক তাদের দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে তার গুণগতমান, পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, নির্ভরতা এবং জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো পৌঁছতে পারেনি। তামাম দুনিয়ার বুকে আলোড়ন তোলা তুরস্কের ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম প্রকল্প এবং হেলথ ট্যুরিজম সম্পর্কে আপনার অধীনস্থ বিভাগের লোকজন কতটুকু ওয়াকিবহাল আছেন তা আপনি জেনে নিলে আমার আজকের পত্র লেখা কিছুটা হলেও সার্থকতা পাবে।

তুরস্কের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি এবং চিকিত্সাসেবা নিয়ে কিছু বলার আগে বলে নিই নীতিটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নাম জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ২০০১ সালের ১৪ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর পরই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলে ২০০২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি জাতীয় নির্বাচনে তারা জয়লাভ করার মাধ্যমে তুরস্কের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। দলটি তাদের মূল নীতিতে রক্ষণশীল গণতন্ত্র এবং ইসলামীকরণকে প্রাধান্য দেওয়ায় পুরো পশ্চিমা দুনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ প্রথম থেকেই মারাত্মক শত্রুতা, অসহযোগিতা, বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় দলটির নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের টিকে থাকার জন্য তুর্কি জনগণের আস্থা, সমর্থন এবং ভালোবাসা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাদের অনেক জনপ্রিয় কর্মের মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম এক পরম মহৌষধ হিসেবে তাদের সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়।

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনিও বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থায় তুর্কি মডেল অনুসরণ করতে পারেন। আপনার সদয় অবগতি এবং পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুরস্কের স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় নিম্নে বর্ণনা করা হলো— ১. দেশের ১০ লাখ সামর্থ্যবান লোককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনা হয়েছে। বীমার সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি অনুদান যোগ করে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে। সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে বীমাকৃত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ করতে হয় না। তারা রোগীর চিকিত্সা বাবদ বীমা কোম্পানি থেকে যে টাকা পায় তা দিয়েই আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে।

২. সমগ্র দেশে একটি সমন্বিত জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। স্থল-নৌ-আকাশ পথের সমন্বয় করে যে কোনো রোগীর টেলিফোন পাওয়ার ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, সি প্লেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব রকম যানবাহন এক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেমনটি করা হয় যুদ্ধাবস্থায়। জরুরি অবস্থায় যে কোনো রোগীকে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে বাধ্য। এমনকি যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল বীমাকৃত রোগীদের চিকিত্সার জন্য তালিকাভুক্ত নয় তারাও বিনামূল্যে জরুরি বিভাগের রোগীকে তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সাসেবা দিতে বাধ্য। পরবর্তীতে রোগী যদি হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা অনীহা প্রকাশ করে তবে সরকারি তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিত্সার খরচ পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

৩. প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং তালিকাভুক্ত প্রাইভেট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম সার্ভিস প্রদান করা হয়। যেসব রোগী শয্যাগত এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নিতে অপারগ সেসব রোগীর বাড়িতে গিয়ে ডাক্তাররা চিকিত্সাসেবা প্রদান করে থাকেন। কোনো একটি একাকায় যদি অধিক সংখ্যক হোম সার্ভিসযোগ্য রোগী থাকে তবে সেখানকার হাসপাতালটিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়।

৪. ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমটি কমন করা হয়েছে। ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়। এর বাইরে শুধু জরুরি চিকিত্সা— মাঝামাঝি কোনো তদবির বা প্রভাব প্রতিপত্তির বালাই নেই। জরুরি চিকিত্সাসেবার মতো ইনটেনসিভ কেয়ার সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি সেবার মতোই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— তারা দেশের সব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে ওষুধ বিক্রি করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সরকার এমনভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেয় যাতে ওষুধের বাজারমূল্য জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। দেশি-বিদেশি সব রোগীর জন্যই একই মূল্য প্রযোজ্য। ফলে কম মূল্যে ওষুধ এবং চিকিত্সাসেবার জন্য পৃথিবীর নানা দেশ থেকে লাখ লাখ লোক তুরস্কে আসছেন। সরকার এই আগমনের নাম দিয়েছে হেলথ ট্যুরিজম।

৬. ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন নির্ধারিত বেতন-ভাতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রয়েছে প্রচুর ইনসেনটিভ, বোনাস এবং পদোন্নতি। সে যত বেশি রোগীর সেবা করতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি আয় করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে সবার ভাগ্য। ফলে একটি সমবায়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে।

৭. তুরস্ক সরকার বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় করে মাত্র ১০১ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৫২৬ ডলার। তারা আশা করছে আগামীতে হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে আয় হবে তাতে মাথাপিছু ব্যয় দ্বিগুণ করলেও সরকারি তহবিলে কোনো সমস্যা হবে না।

৮. তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রসব, শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। উন্নত যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের কর্মপরিবেশ এবং চিকিত্সাসেবার মান এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে করে রোগীরা শতভাগ নিরাপত্তা ও তৃপ্তি অনুভব করতে পারে। তুরস্ক তাদের দেশের চিকিত্সাসেবা, পদ্ধতি এবং নিয়মনীতির ব্যাপারে এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যার জন্য উন্নত দুনিয়া এখন তাদের দেশে তুর্কি মডেল চালু করার জন্য চেষ্টা-তদ্বির আরম্ভ করেছে।

আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা আমার জন্য ফরজ। এই চিঠির মাধ্যমে আমি কেবল একজন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলাম— আপনার দৃষ্টিতে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমা চাচ্ছি। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।  আরজ গুজারে— গোলাম মাওলা রনি।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই জনবহুল এলাকায় এয়ারক্রাফট দুর্ঘটনা ঘটছে
সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই জনবহুল এলাকায় এয়ারক্রাফট দুর্ঘটনা ঘটছে
তারেক রহমান কেন টার্গেট
তারেক রহমান কেন টার্গেট
রাজনীতিকে ‘অলাভজনক’ করাই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার
রাজনীতিকে ‘অলাভজনক’ করাই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার
উন্নয়নের আড়ালে কালো অর্থনীতির উদ্ভব
উন্নয়নের আড়ালে কালো অর্থনীতির উদ্ভব
দায়িত্ব পালনে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে
দায়িত্ব পালনে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে
আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়
আওয়ামী রাজনীতি থেকে পরিত্রাণের উপায়
তারেক রহমানের প্রতীক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ
তারেক রহমানের প্রতীক্ষায় ১৮ কোটি মানুষ
স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে অনন্য তারেক রহমান
স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে অনন্য তারেক রহমান
সোহাগ ওরফে লাল চাঁদের মৃত্যু : বিক্ষিপ্ত ভাবনা
সোহাগ ওরফে লাল চাঁদের মৃত্যু : বিক্ষিপ্ত ভাবনা
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
সর্বশেষ খবর
মোংলায় বিএনপির কাউন্সিল: জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা
মোংলায় বিএনপির কাউন্সিল: জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এবার বড় পর্দায় শার্লিন-বাসার জুটি
এবার বড় পর্দায় শার্লিন-বাসার জুটি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে’
‘নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে’

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেল ট্যাংকলরি, চালক নিহত
সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেল ট্যাংকলরি, চালক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিরোজপুরে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ল সেতু
পিরোজপুরে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ল সেতু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ জুলাই)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে
এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পোশাক নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক, ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক বাদ
কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পোশাক নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক, ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক বাদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভোল পাল্টে এসিসি সভায় যোগ দিচ্ছে ভারত
ভোল পাল্টে এসিসি সভায় যোগ দিচ্ছে ভারত

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫১ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন জয়সওয়াল
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫১ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন জয়সওয়াল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নরওয়েতে মার্কিন দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
নরওয়েতে মার্কিন দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬৯ কেজি ওজন কমিয়ে নতুন রূপে আজম খান
৬৯ কেজি ওজন কমিয়ে নতুন রূপে আজম খান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অতীতের মতো বস্তাপচা নির্বাচন আমরা চাই না : জামায়াত আমির
অতীতের মতো বস্তাপচা নির্বাচন আমরা চাই না : জামায়াত আমির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতীয় চিকিৎসক দল ঢাকায়
ভারতীয় চিকিৎসক দল ঢাকায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা
শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড়পুকুরিয়া খনিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
বড়পুকুরিয়া খনিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার
বাগেরহাটে ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাভাস্কারের পথ ধরে রাহুলের মাইলফলক স্পর্শ
গাভাস্কারের পথ ধরে রাহুলের মাইলফলক স্পর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, পিছু হটতে বাধ্য হলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, পিছু হটতে বাধ্য হলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ দেওয়া কিশোরের লাশ দুই দিন পর উদ্ধার
পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ দেওয়া কিশোরের লাশ দুই দিন পর উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর
এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেই ঢাবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ
সেই ঢাবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশের সংকটাপন্ন নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
দেশের সংকটাপন্ন নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
সমালোচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
সমালোচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেনজীরের গুলশানের ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত জিনিসপত্র তোলা হচ্ছে নিলামে
বেনজীরের গুলশানের ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত জিনিসপত্র তোলা হচ্ছে নিলামে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে’ শোক বার্তায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে’ শোক বার্তায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইগারদের কাছে পাকিস্তানের হার, যা বললেন রমিজ রাজা
টাইগারদের কাছে পাকিস্তানের হার, যা বললেন রমিজ রাজা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, পিছু হটতে বাধ্য হলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
সাগরে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, পিছু হটতে বাধ্য হলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে তুরস্কের চুক্তি
ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে তুরস্কের চুক্তি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর
এনসিপির নিবন্ধনই নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রথমবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল তুরস্ক
প্রথমবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল তুরস্ক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‍্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক পাসপোর্ট র‍্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাকাশে নিজস্ব উপগ্রহ পাঠাচ্ছে ইরান
মহাকাশে নিজস্ব উপগ্রহ পাঠাচ্ছে ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার আমাকে যেতে বললে চলে যাব, পদত্যাগ ইস্যুতে শিক্ষা উপদেষ্টা
সরকার আমাকে যেতে বললে চলে যাব, পদত্যাগ ইস্যুতে শিক্ষা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান কেন টার্গেট
তারেক রহমান কেন টার্গেট

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কোপা আমেরিকা : সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ব্রাজিল
কোপা আমেরিকা : সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ব্রাজিল

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপিকে বিব্রত করতে ‘অযৌক্তিক’ সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার
বিএনপিকে বিব্রত করতে ‘অযৌক্তিক’ সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা
পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাইলস্টোন স্কুলে প্রবেশে কড়াকড়ি
মাইলস্টোন স্কুলে প্রবেশে কড়াকড়ি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান, পারমাণবিক কর্মসূচি চলবে : পেজেশকিয়ান
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান, পারমাণবিক কর্মসূচি চলবে : পেজেশকিয়ান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি পরিচালক আহসান হাবীবকে প্রত্যাহার
বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি পরিচালক আহসান হাবীবকে প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে : শ্রম উপদেষ্টা
দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে : শ্রম উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ
এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখা অসম্ভব : প্রেস সচিব
বাংলাদেশে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখা অসম্ভব : প্রেস সচিব

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা
শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের দুই লাখ টন গম আমদানি হবে শিগগিরই
যুক্তরাষ্ট্রের দুই লাখ টন গম আমদানি হবে শিগগিরই

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে সেরা দশে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে সেরা দশে মুস্তাফিজ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুনতি অভয়ারণ্যে হাতির পাল দেখে থামল ট্রেন, বগিতে ধাক্কা
চুনতি অভয়ারণ্যে হাতির পাল দেখে থামল ট্রেন, বগিতে ধাক্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
১০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি : জনগণকে নগদ অর্থ দেবে মালয়েশিয়া সরকার
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি : জনগণকে নগদ অর্থ দেবে মালয়েশিয়া সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দরকার হলে ইসরায়েলে আরও কঠোর হামলা হবে: মাসুদ পেজেশকিয়ান
দরকার হলে ইসরায়েলে আরও কঠোর হামলা হবে: মাসুদ পেজেশকিয়ান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বর্ষায় শীতের আমেজ, কুয়াশার চাদরে ঢাকলো পঞ্চগড়
বর্ষায় শীতের আমেজ, কুয়াশার চাদরে ঢাকলো পঞ্চগড়

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপিতে গ্রিন সিগন্যাল শতাধিক প্রার্থীকে
বিএনপিতে গ্রিন সিগন্যাল শতাধিক প্রার্থীকে

প্রথম পৃষ্ঠা

দীর্ঘ অপেক্ষায় স্বজনরা
দীর্ঘ অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধন ই-রিকশা
পরিবেশবান্ধন ই-রিকশা

নগর জীবন

চুল পাকে প্রজ্ঞায়, দাড়ি পাকে কাটায়
চুল পাকে প্রজ্ঞায়, দাড়ি পাকে কাটায়

সম্পাদকীয়

দোতলা ভবন যেন বদ্ধখাঁচা
দোতলা ভবন যেন বদ্ধখাঁচা

প্রথম পৃষ্ঠা

এক পরিবারের সাতজনসহ নিহত ৮
এক পরিবারের সাতজনসহ নিহত ৮

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সবজির জমি যেন বিয়েবাড়ি!
সবজির জমি যেন বিয়েবাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থ পাচারে ‘এজেন্ট’ প্রথা
অর্থ পাচারে ‘এজেন্ট’ প্রথা

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনায় শীর্ষে চায়নিজরা
যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি কেনায় শীর্ষে চায়নিজরা

পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াইটওয়াশের বদলা কি হোয়াইটওয়াশ
হোয়াইটওয়াশের বদলা কি হোয়াইটওয়াশ

মাঠে ময়দানে

শেষযাত্রায়ও বোন নাজিয়ার সঙ্গী নাফি
শেষযাত্রায়ও বোন নাজিয়ার সঙ্গী নাফি

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন দলের ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট
তিন দলের ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকার বললে চলে যাব
সরকার বললে চলে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশ-সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা
পুলিশ-সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জনের নামে হত্যা মামলা

খবর

ছিনতাইয়ের নগরী গাজীপুর!
ছিনতাইয়ের নগরী গাজীপুর!

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে দেশে সংকট তৈরি হবে
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে দেশে সংকট তৈরি হবে

নগর জীবন

দুই হাসপাতালে ৩৮ কোটি টাকা খরচের পরও অচল
দুই হাসপাতালে ৩৮ কোটি টাকা খরচের পরও অচল

নগর জীবন

শ্রীবর্ধনের ফোয়ারা এখন অচল শ্রীহীন
শ্রীবর্ধনের ফোয়ারা এখন অচল শ্রীহীন

রকমারি নগর পরিক্রমা

বসুন্ধরার সুদমুক্ত ঋণে বদলে যাওয়া হেলেনার গল্প
বসুন্ধরার সুদমুক্ত ঋণে বদলে যাওয়া হেলেনার গল্প

নগর জীবন

বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে যত সিনেমা
বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে যত সিনেমা

শোবিজ

চিরুনি অভিযান অব্যাহত
চিরুনি অভিযান অব্যাহত

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরণের পথ দ্রুত নির্বাচন
উত্তরণের পথ দ্রুত নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠনে বাছাই কমিটি স্পিকারের নেতৃত্বে
নির্বাচন কমিশন গঠনে বাছাই কমিটি স্পিকারের নেতৃত্বে

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শোক
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিহতদের তথ্য গোপনের কোনো চেষ্টা হচ্ছে না
নিহতদের তথ্য গোপনের কোনো চেষ্টা হচ্ছে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আম্মু তুমি কেন দেরি করলে?
আম্মু তুমি কেন দেরি করলে?

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতীয় চিকিৎসক দল ঢাকায়
ভারতীয় চিকিৎসক দল ঢাকায়

নগর জীবন

বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আনবে সরকার
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আনবে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাবি শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ
ঢাবি শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ

নগর জীবন