শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১২, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

প্রিয় নেত্রী! সালাম ও শুভেচ্ছা। বহু দিন ধরেই আপনাকে একটি কথা বলব বলে মনের মধ্যে শব্দমালা গাঁথার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো উপলক্ষ পাচ্ছিলাম না। গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট্ট একটি সংবাদ পাঠ করার পর মনে হলো কথাটি এখন আর না বললেই নয়। নবম সংসদে আপনার দলীয় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জীবনে বিরল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছিল।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো হিসেবে দেশে এবং বিদেশে অনেকগুলো সভা-সমিতি এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন অনেকগুলো এনজিও, বিদেশি পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি, চুমকী আপু এবং পাপিয়া প্রায় এক মাস সুইডিশ পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে সুইডেন ভ্রমণ করি। আইপি ইউর অর্থায়নে আমরা সুইডেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, মাতৃমঙ্গল এবং শিশু কল্যাণ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করি। সুইডেন থেকে ফেরার পর আমার কেবলই মনে হতে লাগল, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের জন্য অবশ্য করণীয় এমনতরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আজ অবধি শুরু করতে পারিনি।

আমাদের দেশের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমার কেন জানি মানুষের অমরত্ব লাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন কীর্তি কাহিনী মনের পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে আরম্ভ করল। মহামতী সাইরাস, জুলিয়াস সিজার কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অমরত্বের রহস্য কি সাগরের ওপর কুড়িমাইল লম্বা একখানা ব্রিজ, প্রবল খরস্রোতা রাইন নদীর ওপর একখানা পুল নির্মাণ কিংবা ফ্রান্সের সম্রাট হওয়ার মধ্যে নিহিত! নাকি অন্য কিছু? ভারতের চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কিংবা শেরশাহ তাদের কারও কোনো নির্মাণশৈলী আজ আর অবশিষ্ট নেই। আমরা জানি না বনু আমালিক, আদ ও সামুদ জাতির সেসব নেতার নাম সারী পাহাড়ের গা খোদাই করে পেত্রা নগরী নির্মাণ করেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীর, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, রোডস দ্বীপের মন্দির এবং পিরামিড নির্মাণকারী ফেরাউনদের খোঁজখবর রাখার লোকজনই বা কয়জন আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।

ইতিহাসের অনাদিকালের উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত যদি সত্য হয় তবে এ কথা নিশ্চিত যে, হাতিরঝিল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বিদ্যুত্ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মেট্রোরেল, ওভারব্রিজ, লুই কানের নকশা মোতাবেক নতুন সচিবালয় নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, বিস্ময়কর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কর্মের জন্য আপনি অমরত্ব পাবেন না। মানুষ প্রথাগতভাবেই এসব ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের জিনোম আবিষ্কার এবং বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উত্পাদন আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দশমিনার ভুতুমচরে এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থলসীমানা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময়ের সফলতার জন্য অনাগত ভবিষ্যত্ যেমন আপনাকে স্মরণ রাখতে বাধ্য হবে তেমনি পুরান ঢাকার নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারানো দুটো অসহায় মেয়েকে দত্তক গ্রহণ, ধর্ষিত পূর্ণিমাকে নিজের মেয়ের মর্যাদায় লালন-পালনসহ আপনার অনেক গোপন দান-খয়রাত জমিনের বুকে সদগায়ে জারিয়ারূপে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আত্মাকে প্রশান্তি দান করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি হয়তো এতক্ষণে আমার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং মনে মনে ভাবছেন— নিন্ধকার ধান ভানতে শিবের গীত আরম্ভ করেছে। অন্যদিকে আপনি যদি মনে করেন আপনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য তার নেত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথামতে আপনার রাগান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনাকে পত্র লিখতে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার মাত্রাজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমি আপনাকে অনেক কিছু বলার ভরসা পাই— সাহসেরও কোনো অভাব হয় না। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং কাজ করার পদ্ধতির কারণেই হয়তো সেই নির্ভরতার জায়গাটুকু আপনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আপনার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো— তারা আপনাকে চিনে না, চেনার চেষ্টা করেনি এবং সম্ভবত করবেও না।

অন্য কেউ না জানলেও আমি জানতাম যে, ২০০৯ সাল থেকেই আপনি বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের দেশীয় এজেন্ট এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের কারণে আপনার যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছিল তেমনি ওই সুযোগে বিশ্বব্যাংক নামক পশ্চিমা শক্তির হাতিয়ারটি আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। নবম পার্লামেন্টের অধীনে গঠিত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমলা সম্পর্কে বহুমুখী অভিযান সর্বমহলে সমালোচিত হতে থাকে। আশার কথা হলো— বর্তমান সরকারে আপনি বলতে গেলে অতীতের অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে বাদ দিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতা, মহাজোটের ভিতরকার যোগ্যতম লোকদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া এবং ১/১১’র সময়ে সংস্কারবাদী বলে সমালোচিতদের ক্ষমা করার বিষয়ে আপনার শুভার্থীদের দাবির প্রতিও আপনি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আর এ কারণেই আপনাকে কথা বলতে ভরসা পাই—

পত্রের শুরুতেই বলেছিলাম যে, পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে মনের ভিতরকার কথাগুলো অকপটে বলার জন্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, সরকার বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সরকারি খরচে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। টাঙ্গাইল জেলার একলাখ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জনগণ বীমার আওতায় চিকিত্সা সুবিধা পাবে ৫০০ কোটি টাকার সমমূল্যের। দেশের শীর্ষ একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে আগামী দিনে হয়তো স্বাস্থ্যবীমার কর্মপরিধি বিস্তৃত হবে।

মাননীয় নেত্রী! আপনার উপরোক্ত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারবেন। আপনার সরকার জনপ্রিয়তা পাবে এবং আপনার শত্রুরা পরাজিত হবে। মিসরে গিয়ে দেখলাম হোসনি মোবারকের রুটি বিতরণ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা। সুইডেন আজ নিরাপদ মাতৃত্ব, নিরাপদ গর্ভধারণ ও প্রসব, নবজাতক এবং প্রসূতি মায়ের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর এক নম্বর রোল মডেল। অন্যদিকে, নতুন একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে তুরস্ক আজ পৃথিবীর এক নম্বর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশ। গত ১০ বছরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তুরস্ক তাদের দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে তার গুণগতমান, পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, নির্ভরতা এবং জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো পৌঁছতে পারেনি। তামাম দুনিয়ার বুকে আলোড়ন তোলা তুরস্কের ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম প্রকল্প এবং হেলথ ট্যুরিজম সম্পর্কে আপনার অধীনস্থ বিভাগের লোকজন কতটুকু ওয়াকিবহাল আছেন তা আপনি জেনে নিলে আমার আজকের পত্র লেখা কিছুটা হলেও সার্থকতা পাবে।

তুরস্কের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি এবং চিকিত্সাসেবা নিয়ে কিছু বলার আগে বলে নিই নীতিটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নাম জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ২০০১ সালের ১৪ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর পরই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলে ২০০২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি জাতীয় নির্বাচনে তারা জয়লাভ করার মাধ্যমে তুরস্কের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। দলটি তাদের মূল নীতিতে রক্ষণশীল গণতন্ত্র এবং ইসলামীকরণকে প্রাধান্য দেওয়ায় পুরো পশ্চিমা দুনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ প্রথম থেকেই মারাত্মক শত্রুতা, অসহযোগিতা, বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় দলটির নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের টিকে থাকার জন্য তুর্কি জনগণের আস্থা, সমর্থন এবং ভালোবাসা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাদের অনেক জনপ্রিয় কর্মের মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম এক পরম মহৌষধ হিসেবে তাদের সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়।

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনিও বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থায় তুর্কি মডেল অনুসরণ করতে পারেন। আপনার সদয় অবগতি এবং পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুরস্কের স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় নিম্নে বর্ণনা করা হলো— ১. দেশের ১০ লাখ সামর্থ্যবান লোককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনা হয়েছে। বীমার সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি অনুদান যোগ করে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে। সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে বীমাকৃত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ করতে হয় না। তারা রোগীর চিকিত্সা বাবদ বীমা কোম্পানি থেকে যে টাকা পায় তা দিয়েই আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে।

২. সমগ্র দেশে একটি সমন্বিত জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। স্থল-নৌ-আকাশ পথের সমন্বয় করে যে কোনো রোগীর টেলিফোন পাওয়ার ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, সি প্লেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব রকম যানবাহন এক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেমনটি করা হয় যুদ্ধাবস্থায়। জরুরি অবস্থায় যে কোনো রোগীকে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে বাধ্য। এমনকি যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল বীমাকৃত রোগীদের চিকিত্সার জন্য তালিকাভুক্ত নয় তারাও বিনামূল্যে জরুরি বিভাগের রোগীকে তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সাসেবা দিতে বাধ্য। পরবর্তীতে রোগী যদি হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা অনীহা প্রকাশ করে তবে সরকারি তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিত্সার খরচ পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

৩. প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং তালিকাভুক্ত প্রাইভেট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম সার্ভিস প্রদান করা হয়। যেসব রোগী শয্যাগত এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নিতে অপারগ সেসব রোগীর বাড়িতে গিয়ে ডাক্তাররা চিকিত্সাসেবা প্রদান করে থাকেন। কোনো একটি একাকায় যদি অধিক সংখ্যক হোম সার্ভিসযোগ্য রোগী থাকে তবে সেখানকার হাসপাতালটিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়।

৪. ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমটি কমন করা হয়েছে। ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়। এর বাইরে শুধু জরুরি চিকিত্সা— মাঝামাঝি কোনো তদবির বা প্রভাব প্রতিপত্তির বালাই নেই। জরুরি চিকিত্সাসেবার মতো ইনটেনসিভ কেয়ার সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি সেবার মতোই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— তারা দেশের সব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে ওষুধ বিক্রি করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সরকার এমনভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেয় যাতে ওষুধের বাজারমূল্য জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। দেশি-বিদেশি সব রোগীর জন্যই একই মূল্য প্রযোজ্য। ফলে কম মূল্যে ওষুধ এবং চিকিত্সাসেবার জন্য পৃথিবীর নানা দেশ থেকে লাখ লাখ লোক তুরস্কে আসছেন। সরকার এই আগমনের নাম দিয়েছে হেলথ ট্যুরিজম।

৬. ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন নির্ধারিত বেতন-ভাতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রয়েছে প্রচুর ইনসেনটিভ, বোনাস এবং পদোন্নতি। সে যত বেশি রোগীর সেবা করতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি আয় করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে সবার ভাগ্য। ফলে একটি সমবায়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে।

৭. তুরস্ক সরকার বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় করে মাত্র ১০১ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৫২৬ ডলার। তারা আশা করছে আগামীতে হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে আয় হবে তাতে মাথাপিছু ব্যয় দ্বিগুণ করলেও সরকারি তহবিলে কোনো সমস্যা হবে না।

৮. তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রসব, শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। উন্নত যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের কর্মপরিবেশ এবং চিকিত্সাসেবার মান এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে করে রোগীরা শতভাগ নিরাপত্তা ও তৃপ্তি অনুভব করতে পারে। তুরস্ক তাদের দেশের চিকিত্সাসেবা, পদ্ধতি এবং নিয়মনীতির ব্যাপারে এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যার জন্য উন্নত দুনিয়া এখন তাদের দেশে তুর্কি মডেল চালু করার জন্য চেষ্টা-তদ্বির আরম্ভ করেছে।

আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা আমার জন্য ফরজ। এই চিঠির মাধ্যমে আমি কেবল একজন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলাম— আপনার দৃষ্টিতে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমা চাচ্ছি। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।  আরজ গুজারে— গোলাম মাওলা রনি।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সর্বশেষ খবর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর

২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

১১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৮ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৫০ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৫০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৫৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে