শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১২, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

প্রিয় নেত্রী! সালাম ও শুভেচ্ছা। বহু দিন ধরেই আপনাকে একটি কথা বলব বলে মনের মধ্যে শব্দমালা গাঁথার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো উপলক্ষ পাচ্ছিলাম না। গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট্ট একটি সংবাদ পাঠ করার পর মনে হলো কথাটি এখন আর না বললেই নয়। নবম সংসদে আপনার দলীয় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জীবনে বিরল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছিল।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো হিসেবে দেশে এবং বিদেশে অনেকগুলো সভা-সমিতি এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন অনেকগুলো এনজিও, বিদেশি পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি, চুমকী আপু এবং পাপিয়া প্রায় এক মাস সুইডিশ পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে সুইডেন ভ্রমণ করি। আইপি ইউর অর্থায়নে আমরা সুইডেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, মাতৃমঙ্গল এবং শিশু কল্যাণ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করি। সুইডেন থেকে ফেরার পর আমার কেবলই মনে হতে লাগল, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের জন্য অবশ্য করণীয় এমনতরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আজ অবধি শুরু করতে পারিনি।

আমাদের দেশের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমার কেন জানি মানুষের অমরত্ব লাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন কীর্তি কাহিনী মনের পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে আরম্ভ করল। মহামতী সাইরাস, জুলিয়াস সিজার কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অমরত্বের রহস্য কি সাগরের ওপর কুড়িমাইল লম্বা একখানা ব্রিজ, প্রবল খরস্রোতা রাইন নদীর ওপর একখানা পুল নির্মাণ কিংবা ফ্রান্সের সম্রাট হওয়ার মধ্যে নিহিত! নাকি অন্য কিছু? ভারতের চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কিংবা শেরশাহ তাদের কারও কোনো নির্মাণশৈলী আজ আর অবশিষ্ট নেই। আমরা জানি না বনু আমালিক, আদ ও সামুদ জাতির সেসব নেতার নাম সারী পাহাড়ের গা খোদাই করে পেত্রা নগরী নির্মাণ করেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীর, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, রোডস দ্বীপের মন্দির এবং পিরামিড নির্মাণকারী ফেরাউনদের খোঁজখবর রাখার লোকজনই বা কয়জন আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।

ইতিহাসের অনাদিকালের উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত যদি সত্য হয় তবে এ কথা নিশ্চিত যে, হাতিরঝিল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বিদ্যুত্ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মেট্রোরেল, ওভারব্রিজ, লুই কানের নকশা মোতাবেক নতুন সচিবালয় নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, বিস্ময়কর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কর্মের জন্য আপনি অমরত্ব পাবেন না। মানুষ প্রথাগতভাবেই এসব ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের জিনোম আবিষ্কার এবং বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উত্পাদন আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দশমিনার ভুতুমচরে এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থলসীমানা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময়ের সফলতার জন্য অনাগত ভবিষ্যত্ যেমন আপনাকে স্মরণ রাখতে বাধ্য হবে তেমনি পুরান ঢাকার নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারানো দুটো অসহায় মেয়েকে দত্তক গ্রহণ, ধর্ষিত পূর্ণিমাকে নিজের মেয়ের মর্যাদায় লালন-পালনসহ আপনার অনেক গোপন দান-খয়রাত জমিনের বুকে সদগায়ে জারিয়ারূপে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আত্মাকে প্রশান্তি দান করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি হয়তো এতক্ষণে আমার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং মনে মনে ভাবছেন— নিন্ধকার ধান ভানতে শিবের গীত আরম্ভ করেছে। অন্যদিকে আপনি যদি মনে করেন আপনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য তার নেত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথামতে আপনার রাগান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনাকে পত্র লিখতে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার মাত্রাজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমি আপনাকে অনেক কিছু বলার ভরসা পাই— সাহসেরও কোনো অভাব হয় না। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং কাজ করার পদ্ধতির কারণেই হয়তো সেই নির্ভরতার জায়গাটুকু আপনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আপনার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো— তারা আপনাকে চিনে না, চেনার চেষ্টা করেনি এবং সম্ভবত করবেও না।

অন্য কেউ না জানলেও আমি জানতাম যে, ২০০৯ সাল থেকেই আপনি বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের দেশীয় এজেন্ট এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের কারণে আপনার যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছিল তেমনি ওই সুযোগে বিশ্বব্যাংক নামক পশ্চিমা শক্তির হাতিয়ারটি আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। নবম পার্লামেন্টের অধীনে গঠিত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমলা সম্পর্কে বহুমুখী অভিযান সর্বমহলে সমালোচিত হতে থাকে। আশার কথা হলো— বর্তমান সরকারে আপনি বলতে গেলে অতীতের অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে বাদ দিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতা, মহাজোটের ভিতরকার যোগ্যতম লোকদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া এবং ১/১১’র সময়ে সংস্কারবাদী বলে সমালোচিতদের ক্ষমা করার বিষয়ে আপনার শুভার্থীদের দাবির প্রতিও আপনি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আর এ কারণেই আপনাকে কথা বলতে ভরসা পাই—

পত্রের শুরুতেই বলেছিলাম যে, পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে মনের ভিতরকার কথাগুলো অকপটে বলার জন্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, সরকার বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সরকারি খরচে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। টাঙ্গাইল জেলার একলাখ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জনগণ বীমার আওতায় চিকিত্সা সুবিধা পাবে ৫০০ কোটি টাকার সমমূল্যের। দেশের শীর্ষ একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে আগামী দিনে হয়তো স্বাস্থ্যবীমার কর্মপরিধি বিস্তৃত হবে।

মাননীয় নেত্রী! আপনার উপরোক্ত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারবেন। আপনার সরকার জনপ্রিয়তা পাবে এবং আপনার শত্রুরা পরাজিত হবে। মিসরে গিয়ে দেখলাম হোসনি মোবারকের রুটি বিতরণ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা। সুইডেন আজ নিরাপদ মাতৃত্ব, নিরাপদ গর্ভধারণ ও প্রসব, নবজাতক এবং প্রসূতি মায়ের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর এক নম্বর রোল মডেল। অন্যদিকে, নতুন একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে তুরস্ক আজ পৃথিবীর এক নম্বর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশ। গত ১০ বছরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তুরস্ক তাদের দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে তার গুণগতমান, পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, নির্ভরতা এবং জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো পৌঁছতে পারেনি। তামাম দুনিয়ার বুকে আলোড়ন তোলা তুরস্কের ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম প্রকল্প এবং হেলথ ট্যুরিজম সম্পর্কে আপনার অধীনস্থ বিভাগের লোকজন কতটুকু ওয়াকিবহাল আছেন তা আপনি জেনে নিলে আমার আজকের পত্র লেখা কিছুটা হলেও সার্থকতা পাবে।

তুরস্কের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি এবং চিকিত্সাসেবা নিয়ে কিছু বলার আগে বলে নিই নীতিটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নাম জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ২০০১ সালের ১৪ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর পরই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলে ২০০২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি জাতীয় নির্বাচনে তারা জয়লাভ করার মাধ্যমে তুরস্কের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। দলটি তাদের মূল নীতিতে রক্ষণশীল গণতন্ত্র এবং ইসলামীকরণকে প্রাধান্য দেওয়ায় পুরো পশ্চিমা দুনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ প্রথম থেকেই মারাত্মক শত্রুতা, অসহযোগিতা, বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় দলটির নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের টিকে থাকার জন্য তুর্কি জনগণের আস্থা, সমর্থন এবং ভালোবাসা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাদের অনেক জনপ্রিয় কর্মের মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম এক পরম মহৌষধ হিসেবে তাদের সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়।

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনিও বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থায় তুর্কি মডেল অনুসরণ করতে পারেন। আপনার সদয় অবগতি এবং পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুরস্কের স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় নিম্নে বর্ণনা করা হলো— ১. দেশের ১০ লাখ সামর্থ্যবান লোককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনা হয়েছে। বীমার সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি অনুদান যোগ করে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে। সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে বীমাকৃত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ করতে হয় না। তারা রোগীর চিকিত্সা বাবদ বীমা কোম্পানি থেকে যে টাকা পায় তা দিয়েই আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে।

২. সমগ্র দেশে একটি সমন্বিত জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। স্থল-নৌ-আকাশ পথের সমন্বয় করে যে কোনো রোগীর টেলিফোন পাওয়ার ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, সি প্লেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব রকম যানবাহন এক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেমনটি করা হয় যুদ্ধাবস্থায়। জরুরি অবস্থায় যে কোনো রোগীকে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে বাধ্য। এমনকি যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল বীমাকৃত রোগীদের চিকিত্সার জন্য তালিকাভুক্ত নয় তারাও বিনামূল্যে জরুরি বিভাগের রোগীকে তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সাসেবা দিতে বাধ্য। পরবর্তীতে রোগী যদি হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা অনীহা প্রকাশ করে তবে সরকারি তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিত্সার খরচ পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

৩. প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং তালিকাভুক্ত প্রাইভেট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম সার্ভিস প্রদান করা হয়। যেসব রোগী শয্যাগত এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নিতে অপারগ সেসব রোগীর বাড়িতে গিয়ে ডাক্তাররা চিকিত্সাসেবা প্রদান করে থাকেন। কোনো একটি একাকায় যদি অধিক সংখ্যক হোম সার্ভিসযোগ্য রোগী থাকে তবে সেখানকার হাসপাতালটিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়।

৪. ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমটি কমন করা হয়েছে। ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়। এর বাইরে শুধু জরুরি চিকিত্সা— মাঝামাঝি কোনো তদবির বা প্রভাব প্রতিপত্তির বালাই নেই। জরুরি চিকিত্সাসেবার মতো ইনটেনসিভ কেয়ার সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি সেবার মতোই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— তারা দেশের সব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে ওষুধ বিক্রি করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সরকার এমনভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেয় যাতে ওষুধের বাজারমূল্য জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। দেশি-বিদেশি সব রোগীর জন্যই একই মূল্য প্রযোজ্য। ফলে কম মূল্যে ওষুধ এবং চিকিত্সাসেবার জন্য পৃথিবীর নানা দেশ থেকে লাখ লাখ লোক তুরস্কে আসছেন। সরকার এই আগমনের নাম দিয়েছে হেলথ ট্যুরিজম।

৬. ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন নির্ধারিত বেতন-ভাতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রয়েছে প্রচুর ইনসেনটিভ, বোনাস এবং পদোন্নতি। সে যত বেশি রোগীর সেবা করতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি আয় করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে সবার ভাগ্য। ফলে একটি সমবায়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে।

৭. তুরস্ক সরকার বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় করে মাত্র ১০১ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৫২৬ ডলার। তারা আশা করছে আগামীতে হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে আয় হবে তাতে মাথাপিছু ব্যয় দ্বিগুণ করলেও সরকারি তহবিলে কোনো সমস্যা হবে না।

৮. তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রসব, শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। উন্নত যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের কর্মপরিবেশ এবং চিকিত্সাসেবার মান এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে করে রোগীরা শতভাগ নিরাপত্তা ও তৃপ্তি অনুভব করতে পারে। তুরস্ক তাদের দেশের চিকিত্সাসেবা, পদ্ধতি এবং নিয়মনীতির ব্যাপারে এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যার জন্য উন্নত দুনিয়া এখন তাদের দেশে তুর্কি মডেল চালু করার জন্য চেষ্টা-তদ্বির আরম্ভ করেছে।

আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা আমার জন্য ফরজ। এই চিঠির মাধ্যমে আমি কেবল একজন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলাম— আপনার দৃষ্টিতে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমা চাচ্ছি। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।  আরজ গুজারে— গোলাম মাওলা রনি।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
আস্থা সংকটে উদ্যোক্তারা, গতি নেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
ছাত্র সংসদ ও সরকার পরিচালনা এক নয়
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
বর্তমান পরিবেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
সর্বশেষ খবর
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় স্নাইপারের গুলিতে ইসরায়েলি সেনা নিহত

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ: আটকা শত শত যানবাহন

২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কার্তিক

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়
হাতির পিঠে চড়িয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে রাজকীয় বিদায়

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা
তৃতীয় সন্তানের মা হলেন রিয়ানা

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট সরকার তৈরি হতে পারে : সালাহউদ্দিন

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে টপকে শীর্ষে মুস্তাফিজ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত
ট্রেন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাল ভারত

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০
লাদাখে পরিস্থিতি থমথমে, কারফিউ চলছে; নিহত চার-আহত অন্তত ৮০

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি
রঙ তুলির আঁচড়ে রঙিন দেবী মহামায়া, প্রস্তুত রাঙামাটি

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইনে ১৯৯৯ মামলা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৯৯ মামলা

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ
সীমাহীন দুর্ভোগে চরঘাসিয়ার ৫ হাজার মানুষ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : নবীউল্লাহ নবী

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক
নেত্রকোনায় ১০২ বোতল ভারতীয় মদসহ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা
চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনের হুকে আটকে ছিলেন নারী, চালকের দক্ষতায় রক্ষা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক
খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ
নাটোরে ট্রাক চাপায় শ্রমিক নিহত, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন
গাজামুখী নৌবহরে ড্রোন হামলা, সুরক্ষায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ইতালি-স্পেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ
যশোরে মাছের ঘেরের পাশে উদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়
বাংলাদেশি পর্বতারোহী তমালের পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ চূড়া ‘মানাসলু’ জয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন তো লিটন?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
জয়পুরহাটে ট্রেনে ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প
নিজের সাথে ঘটা তিন ঘটনাকে নাশকতা দাবি করে বিচার চাইলেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ
সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার
ফেনীতে ১১ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ১,০০০ শিক্ষার্থী অসুস্থ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা
বিশ্বনেতাদের আহ্বান কানেই তুলছে না ইসরায়েল, গাজায় আরও ৮৫ জনকে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ
শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি : ডা. জাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা
‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন’: তাপসের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
পূজার ছুটি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে
ভারতের কাছে হারের পর এখন বাংলাদেশ যে সমীকরণের সামনে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে
ইসরায়েলি পারমাণবিক কেন্দ্রের স্পর্শকাতর তথ্য ইরানের হাতে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
কখনোই পারমাণবিক বোমা না বানানোর ঘোষণা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়
বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত, শ্রীলঙ্কার বিদায়

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক
এরদোয়ানের সুর বদল, এফ-১৬ নয় কান ফাইটার জেটের ইঞ্জিন কিনতে চায় তুরস্ক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!
লাদাখের আন্দোলনের নেপথ্যে ‘থ্রি ইডিয়টস’র সেই ফুনসুখ ওয়াংড়ু!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...
১০০ টাকার ঘুষের মামলায় ৩৯ বছর লড়াই, তারপর...

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ
নৌকা স্থগিত রেখে ১১৫ প্রতীকের তালিকা প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক
ব্যাংককে হঠাৎ ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়ক, চারিদিকে আতঙ্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
ট্রাম্পের সংবর্ধনায় প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ১৩৩ ধাপ লাফ সাইফের, শীর্ষ দশে মুস্তাফিজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প
পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও মানেই ছিল না: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো
গাজা যুদ্ধ বন্ধ করলেই ট্রাম্প নোবেল পাবেন: ম্যাক্রো

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা
আর্সেনিক প্রয়োগে শত শত পুরুষকে হত্যা করেছিল তাদের স্ত্রীরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২
ইসরায়েলে আঘাত হানলো হুতির ড্রোন, আহত ২২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী
শুধু মেট্রোর আগুন নয়, বহু আগুনের পেছনেই ছিল খুনির ক্ষমতালিপ্সা : ফারুকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে
ডিম ছোড়ার মতো অপকর্ম আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করবে

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি
বাড়ছে ভিসা জটিলতা, বিদেশযাত্রায় ভোগান্তি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি
কলকাতার ‘এই সময়ে’ মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার ‘মিথ্যা ও মনগড়া’: বিএনপি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের
দুর্গাপূজার আগে কলকাতায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ১২ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪
রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে অশান্ত লাদাখ, সহিংসতায় নিহত ৪

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার
সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ
হোটেল-ফ্ল্যাট-ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগের কর্মী থাকলে তথ্য দিতে অনুরোধ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ
ভারত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা
হাঁটুর বয়সি ছেলেরাও প্রেম প্রস্তাব দেয়: আমিশা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি
রাশিয়া-ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা
ঢাকায় মিছিল থেকে বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি
ভয়াবহ দুঃসংবাদের ডিম রাজনীতি

সম্পাদকীয়

সাজানো ছকে নির্বাচন!
সাজানো ছকে নির্বাচন!

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই
১২ কোটি টাকার ভবন আছে সেবা নেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা
বিএনপির মনোনয়ন চান নবীন-প্রবীণ চার নেতা

নগর জীবন

ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা
ভোট ঘিরে তৎপর পশ্চিমারা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
সেই লামিয়ার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা
দ্বিতীয়বার ঘর বাঁধেননি যে নায়িকারা

শোবিজ

গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে
গবেষণা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক
প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা, অন্যদের একক

নগর জীবন

বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস
বিশ্বকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জানাবেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা
লালমনিরহাটে শীতের আগমনি বার্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন ও সাধনার জীবন
স্বপ্ন ও সাধনার জীবন

বিশেষ আয়োজন

হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি
হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে
বিএনপি ৪১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা
পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক হচ্ছেন কারা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে
হাসিনার দুর্নীতি মামলার রায় নভেম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি
মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকার মিথ্যা ও মনগড়া : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি
মিত্রদের সম্মানজনক আসন ছাড় দেবে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ
যুদ্ধ নিয়ে উত্তপ্ত জাতিসংঘ

প্রথম পৃষ্ঠা

মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও
মারা গেলেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদাও

প্রথম পৃষ্ঠা

অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি
অধিগ্রহণ জমির সঠিক মূল্য দাবি

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল
বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়
রাজনৈতিক সংস্কৃতি না পাল্টালে স্বাধীন দুদক সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ
জাতিসংঘ সম্মেলন এলাকা থেকে বিপুল সিমকার্ড ও সার্ভার জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না
ঐক্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হচ্ছে মামলা ও তদন্ত
হচ্ছে মামলা ও তদন্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট
পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী ভোট

পেছনের পৃষ্ঠা