ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আগামীকাল সোমবার থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াসউদ্দিন। তবে এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ স্বাভাবিকভাবে চলবে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জানান, গত কয়েক দফার ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ায় আজকের মিটিংয়ে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হবে। অনলাইন চলাকালে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। জকসুর কার্যক্রম আগের মতো চলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল আগামীকাল সকাল থেকে সব বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী আবাসন ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের শিক্ষার্থীদের সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিনের দ্বিতীয় অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম পিএইচডি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় ভূমিকম্প-পরবর্তী ঝুঁকি বিবেচনায় আরও বিস্তারিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, সব অনুষদের ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং প্রক্টর।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যেই ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল খালি করতে হবে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলবে।
এছাড়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি যাচাইয়ে লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডীনকে আহ্বায়ক করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। কমিটিকে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৪ ডিসেম্বর আবার সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, উল্লেখিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের পরিবহনও বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস যথারীতি খোলা থাকবে। জকসু নির্বাচন কার্যক্রম বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন নির্বাচন কমিশন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক