রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চাঁদনী আক্তার (১৯) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে পারিবারিক কলহের জেরে কদমতলীর জুরাইন মুরাদপুরের একটি বাসায় তিনি কীটনাশক পান করেন বলে জানা গেছে। মৃত্যুর চার মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন চাঁদনী। মঙ্গলবার রাত দেড়টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। জানা যায়, চাঁদনী পটুয়াখালীর সদর উপজেলার কবির মৃধার মেয়ে। জুরাইনের মুরাদপুরে স্বামী সাব্বিরের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কদমতলী থানার এসআই ফেরদৌসী আক্তার গতকাল জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত দেড়টায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চাঁদনী আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চাঁদনীর। একপর্যায়ে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন তিনি। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। বাসায় আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে চাঁদনীকে মুগদা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।