বাংলাদেশের কৃষি জমির বিশাল অংশ এখনো টেকসই চাষের বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। প্রায় ৫৬ শতাংশ জমি টেকসই চাষের আওতায় আনতে আরও চেষ্টা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আকতার।
বিবিএস জানায়, দেশের ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কৃষি জমি উৎপাদনশীল ও টেকসইভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। তবে ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ জমির টেকসই ব্যবহার হচ্ছে। দেশের ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ কৃষি জমি গত ৩ বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত একটি বছর লাভজনকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব জমিতে কৃষকরা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত অর্থে আয় করেছেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রায় এক তৃতীয়াংশ কৃষক এখনো কৃষি জমির সুরক্ষার বাইরে আছেন। এদিকে ৬৯ দশমিক ১৬ শতাংশ কৃষি জমি এমন কৃষক পরিবারের হাতে রয়েছে যারা কোনো না কোনোভাবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সুবিধার আওতায় রয়েছেন। অর্থাৎ কৃষি ঋণ গ্রহণ, কৃষি বিমা কভারেজ এবং খামারের বৈচিত্র্যকরণ ইত্যাদি সুবিধা পান।
জরিপে আরও দেখা যায়, ৬০ দশমিক ১২ শতাংশ কৃষি জমি এমন অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে অদক্ষ শ্রমিকরা জাতীয় কৃষি মজুরির চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পায়। যদিও সংখ্যাটি মাঝারি। তবুও কৃষি মজুরি কিছু এলাকায় ভালো পাচ্ছে। জরিপে আরও দেখা যায়, ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ কৃষি পরিবার গত বছর খাদ্যের ঘাটতি বা সংকটে ছিলেন না। এ ছাড়া ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কৃষি জমি এমন কৃষক পরিবারে রয়েছে, যারা জমির স্থায়ী মালিক।