পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদফতর দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলায় পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করায় বগুড়া, শরীয়তপুর ও ঢাকা মহানগরের চকবাজার, ইমামগঞ্জ, ছোট কাটরাঘাট ও সোয়ারিঘাট এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার বিরুদ্ধে তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে দুটি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া, এক হাজার ৫২৮ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি জনগণকে পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে নোয়াখালী, রাজবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ জেলায় তিনটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে পাঁচটি মামলার মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং ১০টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। এছাড়া, চালকদের সতর্ক করা হয়।
যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার গুলশান এলাকায় দুটি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে নয়টি মামলার মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকজন পরিবহন চালককে সতর্ক করা হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ঢাকার হাতিরপুল ও ধানমন্ডি এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের অপরাধে একটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে দুটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে শরীয়তপুর জেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের একটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে এক মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ অনুসারে নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরিচালিত এক এনফোর্সমেন্ট অভিযানে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বৈদ্যুতিক মিটার খুলে আনা হয়। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদফতর জানায়, পরিবেশ সুরক্ষা ও জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ