সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন ও একাত্মতা জানিয়েছে ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। মঙ্গলবার (২৭ মে) সংগঠনের সদস্য সচিব কাজী মেরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও অসাংবিধানিক ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় সচিবালয়সহ গোটা বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীগণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ তাদের আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন ও একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৭ মে তারিখে সংগঠনের সিনিয়র কর্মকর্তারা সচিবালয়ে বৈধ পাশসহ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই ঘটনাকে বিধিবহির্ভূত নিষেধাজ্ঞা হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি তীব্র ঘৃণা, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিতর্কিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সহযোগিতায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। তারা নিজেদেরকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের নির্যাতিত ও বঞ্চিত কর্মকর্তা হিসাবে দাবি করলেও গত ১৬ বছর স্বৈরাচার বিরোধী কোন আন্দোলনে তাদের দেখা যায়নি।
সংগঠনটি দাবি করেছে, চুক্তিভিত্তিক এই তিন সচিবের অদক্ষতা, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও স্বজনপ্রীতির কারণে প্রশাসন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, এবং দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই তাদের নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা