পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের মৃত্যু নিয়ে নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে। করাচির প্রতিরক্ষা আবাসনের একটি বন্ধ ঘর থেকে তার পচাগলা মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল, সপ্তাহখানেক আগেই মৃত্যু হয়েছিল তার। তবে ময়নাতদন্ত বলছে— মৃত্যুর সময়টা ৮ থেকে ১০ মাস আগের।
পুলিশ জানায়, আবাসনের ফ্ল্যাটটি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া না দেওয়ায় মালিক আদালতে মামলা করেন। পরে পুলিশ সমনের জবাব না পেয়ে শুক্রবার (১১ জুলাই) ফ্ল্যাটে যায় এবং দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। ভিতরে মেঝেতে উপুড় হয়ে থাকা মরদেহ পোকায় ভরা এবং সম্পূর্ণ পচে গলে যায়। এমনকি বারান্দার দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল, যা বাইরে থেকে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনা নাকচ করে।
ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, মরদেহের অস্থিমজ্জা ছিল না, মস্তিষ্ক পচে গেছে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গেছে। হাতের আঙুল ও নখ ছিল না, গলে বেরিয়ে এসেছে হাড়। সুষুম্না নালির কোনো অস্তিত্ব নেই, কেবল হাড়ের উপর কালো চামড়ার স্তর রয়ে গেছে। দেহে বাদামি রঙের পোকা জন্মেছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
হুমাইরার পরিবারের কেউ শুরুতে মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের দাবি ছিল— হুমাইরার অভিনয় পেশা পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করেছে। তবে পরে শুক্রবার তার মরদেহ গ্রহণ করে পারিবারিকভাবে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, পুলিশ জানায়, মরদেহে বাইরে থেকে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, ভাঙা হাড়ও মেলেনি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক