সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করায় ১২টি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ মঙ্গলবার থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে করণীয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা জানান, কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না বলেও জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশনে তাদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ১২টি কারখানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কারখানায় অসন্তোষ চলছে।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছে না তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা শ্রম আইন অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।
কোন কোন কারখানার মালিকদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কারখানাগুলোর নাম বলা যাবে না।
১২ কারখানার বাইরে অন্য কারখানা শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করলে তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ২৭ মার্চের মধ্যে সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। এরপর আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করব।
যদি আরও কোনো প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করতে না পারে তাদের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান শ্রম উপদেষ্টা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত