ওজন কমানো গ্রিন টি হতে পারে উপকারী এক সঙ্গী। কিন্তু একদিন বা মাঝেমধ্যে এটি খেলে এর উপকার মিলবে না। প্রতিদিন অন্তত তিন কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে অনেকে গ্রিন টি-র স্বাদ পছন্দ করেন না।
ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা জানা থাকলেও নিয়ম করে খাওয়া হয় না। এক্ষেত্রে স্বাদের কিছু পরিবর্তন এনে বা সহজ কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেই এটি দৈনন্দিন জীবনে সহজে যুক্ত করা সম্ভব। চলুন, জেনে নিই।
অভ্যাস গড়ুন গ্রিন টি পান করার
দুধ ও চিনিযুক্ত চা খাওয়া একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনই এটি শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত করে। পরিবর্তে যদি গ্রিন টি-কে অভ্যাসে পরিণত করা যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে এর উপকারিতা চোখে পড়বে। এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে সাধারণ চা কেনা বন্ধ করে গ্রিন টি কিনে ঘরে রাখা। চা বানানোর সময় যদি হাতের কাছে গ্রিন টি থাকে, তা হলে ধীরে ধীরে এর প্রতি ঝোঁক তৈরি হবে। চাইলেই বাজারে পাওয়া বিভিন্ন স্বাদের গ্রিন টি যেমন- লেমন-হানি, মিন্ট বা জুঁই বেছে নিতে পারেন।
স্বাদে আনুন ভিন্নতা, তবেই তৈরি হবে অভ্যাস
শুধু গরম পানিতে গ্রিন টি ফুটিয়ে খেতে একঘেয়ে লাগতেই পারে। তাই স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে এক কাপ গ্রিন টি-তে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে এক বিষয় মনে রাখতে হবে- গ্রিন টি বেশি সময় ফুটালে সেটি তেতো হয়ে যায়। তাই এক-দেড় মিনিটের বেশি ফুটানো যাবে না।
দিনে তিনবার, তবে কখন খাবেন?
গ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালে নাস্তার কিছু পরে এবং দুপুর বা বিকেলের সময়। খালি পেটে ও সন্ধ্যার পর গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো, কারণ এতে অ্যাসিডিটি হতে পারে কিংবা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যেহেতু নতুন অভ্যাস তৈরি সময়সাপেক্ষ, তাই স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বা রিমাইন্ডার সেট করে নিতে পারেন। এতে আপনি ভুলে গেলেও আপনার ফোন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে, ‘গ্রিন টি খাওয়ার সময় হয়েছে!’
চেষ্টা করলে ধীরে ধীরে সম্ভব
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস একদিনে তৈরি হয় না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলে ধীরে ধীরে সম্ভব। ঠিক যেমন আমরা চিনি-দুধের চা খাওয়ার অভ্যাস করেছি, তেমনি দিনে তিনবার গ্রিন টি খাওয়াও অভ্যাসে পরিণত করা সম্ভব। ত্বকের যত্ন হোক বা ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত গ্রিন টি-ই হতে পারে আপনার সহজ সমাধান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ