মৌসুম নয়, তার পরও মাচায় ঝুলছে সবুজ ও রসালো তরমুজ। তিন মাসেই আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। স্বল্প পুঁজি আর পরিশ্রমে কয়েক গুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাষি রশিদ আলী।
সরেজমিনে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নাচুনী গ্রামের কৃষক রশিদ আলীর তরমুজ খেতে গিয়ে দেখা যায়, সমতল জমির দুই পাশে পৃথক মাচায় ঝুলছে অফসিজনের তরমুজ। জমি থেকে অল্প উঁচুতে মাচা। চওড়া নেট, চিকন রশি আর গুটি কয়েক বাঁশের সাহায্যে তৈরি এ মাচা। এ সময় তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছিলেন তিনি। কথা হলে জানান, পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। বেশ কিছুদিন কামকাজ না থাকায়, কৃষি অফিস থেকে অফসিজনের তরমুজ চাষের প্রদর্শনী নেন তিনি। অন্যের পরিত্যাক্ত ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে, গেল জুলাই মাসে বপন করেন ১০০ গ্রাম ‘টিআই-১৭৬’ জাতের তরমুজের বীজ। এরপর নিয়মিত পরিচর্যায় চার মাসের মাথায় মাচাজুড়ে আসে ফলন।
তিনি আরও জানান, এ প্রকল্পে সার, বীজ, কীটনাশকসহ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কৃষি অফিস। যে হারে ফলন এসেছে চার মাস পর্যন্ত বিক্রি করা গেলে লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে। সব ব্যয় বাদেও আশা রয়েছে ৬০ হাজার টাকা মুনাফার। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (দশঘর ব্লক) জাকারিয়া আহমদ জানান, ‘এই এলাকায় অসময়ে তরমুজ চাষ খুবই চ্যালেঞ্জের। কৃষি অফিসের অব্যাহত সাপোর্ট ও নিজ পরিশ্রমে কৃষক রশিদ আলী সফল হয়ে০ছেন। বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘বিশ্বনাথ উপজেলায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে অফসিজনের তরমুজ চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমরা সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি তারা মুনাফাও ভালো পাবেন।’