চুয়াডাঙ্গা শহরের সরকারি কলেজ এলাকার রেস্টুরেন্টের দরজা ভেঙে ওই প্রতিষ্ঠানের বাবুর্চি আশীকের (২১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে তার সহকর্মীরা ঘরের ভেতর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসক আশীককে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশীক সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের শ্রী জয় কুমারের ছেলে। তিনি প্রায় ছয় মাস ধরে ওই রেস্টুরেন্টে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং রেস্টুরেন্টের ভেতরেই থাকতেন।
পুলিশ জানায়, আশীক প্রায় তিন-চার বছর আগে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেন। তার পরিবার বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় বসবাস করছে।
উদ্ধারকারী সহকর্মী মামুন হোসেন বলেন, “শেষবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় আশীকের সঙ্গে কথা হয়। এরপর ফোন দিলে সে আর ধরেনি। পরে রেস্টুরেন্টে এসে জানালা দিয়ে দেখি সে মেঝেতে পড়ে আছে। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, “দুপুর ২টার দিকে আশীককে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি আগেই মারা গেছেন। মৃত্যুটি স্বাভাবিক মনে হয়নি। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না। আশীকের হাতে ব্লেডের মতো ধারালো অস্ত্রের একাধিক কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা সম্ভব হবে এটি আত্মহত্যা কিনা। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম