সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও পরে টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমেছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২২১টির। এ ছাড়া ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের শেয়ার। ২০১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে ২১১ টাকা ২০ পয়সায় কোম্পানিটির ২২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৫২ লাখ টাকার। ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা।