জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, আগামী তিন থেকে চার বছর পর ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের পেছনে আর কোনো অর্থ খরচ করতে চাই না। নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে ‘বিশ্ব শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থা : কী ভুল হয়েছে এবং কীভাবে এটি ঠিক করা যায়’ শীর্ষক এক আলোচনার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র। এ আলোচনার মূল আয়োজক ছিলেন মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ।
এতে আলোচক হিসেবে যোগ দেয় পানামা, লাইবেরিয়া, বাংলাদেশ এবং কসোভোর প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইনের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা নিজ গ্রামে ফেরত যেতে শুরু করেছে। সেখানকার গ্রাম প্রশাসনেও রোহিঙ্গারা প্রতিনিধিত্ব করছে। আর আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনের প্রধান একটি শহরে গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছে।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, গত আট বছরে বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পেছনে পাঁচশ কোটি ডলারের ওপর খরচ করেছে। দাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর বাংলাদেশও হয়তো বিভিন্ন উপায়ে অর্থের বাইরে এর থেকে অনেক বেশি ব্যয় করেছে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমরা ফেরত পাঠাতে পারি না। কিন্তু তাদের ইচ্ছাটা কী? যখন রোহিঙ্গা শিবিরে পরিদর্শনে গিয়েছেন, তখন ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার আপনি দেখেছেন যে তারা ফেরত যেতে আগ্রহী। গত রমজানের সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার সফরে সব রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ফেরত যেতে চায়।