মহালয়ার মধ্য দিয়ে হলো দেবীপক্ষের সূচনা। বাজল শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনি সুর। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত মহালয়ার দিন থেকেই ভক্তরা দেবীদুর্গার আগমনি শুনতে পান। সারা দেশের দুর্গাপূজা মণ্ডপে মহালয়া উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন।
গতকাল ভোরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘণশ্যাম ভান্ডারি। সকাল ৯টায় তিলতর্পণ এবং এরপর মহালয়ার ঘট স্থাপন ও পূজা সম্পন্ন হয়। শুধু ঢাকেশ্বরী মন্দির নয়, মহালয়া উপলক্ষে চ-ীপাঠসহ বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয় রাজধানীর রমনা কালীমন্দির, রাজারবাগ কালীমন্দিরসহ প্রায় সব পূজা মন্ডপেই। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি জানায়, মহালয়ার ছয় দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীশ্রী দুর্গাষষ্ঠী। এর মাধ্যমেই মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গাপূজা শুরু হবে। সেদিন দেবীদুর্গার ষষ্ঠাদি কল্পনারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা হবে। সেই সঙ্গে হবে দেবীদুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। দুর্গোৎসবে ২৯ সেপ্টেম্বর হবে মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর জানান, এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মন্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ২৫৮টি মণ্ডপে ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।