বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, যেসব ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের নিচে এবং প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে, সেসব ব্যাংক কোনো অবস্থাতেই শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ট (লভ্যাংশ) বা কর্মকর্তাদের বোনাস দিতে পারবে না।
গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। গভর্নর বলেন, গত কয়েক বছরে অর্থ ব্যবস্থায় শঙ্কা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এখন ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে। আমরা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছি। আংশিক সফলতাও এসেছে।
আহসান এইচ মনসুর জানান, বর্তমানে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট উদ্বৃত্ত অবস্থায় আছে। রেমিট্যান্স বেড়েছে ২১ শতাংশ। সংকটের মধ্যেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা এসেছে।
জুন মাসের ঋণখেলাপি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে গভর্নর বলেন, ৩০ শতাংশ ঋণখেলাপির ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সমস্যাগ্রস্ত পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। এক-দুই বছরের মধ্যে এ উদ্যোগের সুফল মিলবে। কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমানতকারীরাও উপকৃত হবেন, বলেন তিনি।
হুন্ডি প্রবাহ কমে আসা এবং প্রবাসী আয়ের লিকেজ কমে যাওয়ার কথা তুলে ধরে গভর্নর জানান, আগে প্রবাসী আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ পাচার হয়ে যেত। এখন তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমদানি কমেনি, তবে দাম কমেছে। মূল্য বাড়িয়ে পাচারের যে প্রবণতা ছিল, তা নেই। এজন্যই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে, বলেন তিনি।
তবে তিনি স্বীকার করেন, ডলারের সংকট না থাকলেও দেশে টাকার সংকট রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এটা সময়সাপেক্ষ বিষয়। আগস্টে চালের দাম বাড়ায় কিছুটা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবু আমাদের লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা, বলেন গভর্নর।