৭৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠাকালীন ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ নামটি ফিরে পাচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সম্পর্কিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তবে সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী নাম পরিবর্তনের এই নির্দেশ কার্যকর করতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।
উল্লেখ্য, ১৭৮৯ সালে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জর্জ ওয়াশিংটনের হাত ধরে, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটির নাম বদলে যায়। ‘পারমাণবিক যুগে’ যুদ্ধ ঠেকানোই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারে থাকবে এই বিবেচনায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের নাম ‘প্রতিরক্ষা’ করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংক্ষেপে ‘পেন্টাগন’ ডাকা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর তদারককারী মন্ত্রণালয়। ১৯৪৯ সালে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি সংশোধনী আইন’ কংগ্রেসে পাস না হওয়া পর্যন্ত এটি যুদ্ধ মন্ত্রণালয় নামেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে কংগ্রেসের উভয়কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের পরিপূরক বিল পাস করা তেমন সমস্যা হবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সে আমেজেই ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ নামটি ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়’র বিকল্প হিসেবে এখন থেকেই ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পিটে হ্যাগসেথকে পাশে নিয়ে হোয়াইট হাউসে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প স্বাক্ষর করেন নয়া এই আদেশে। এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করছি এটিই এখন যথার্থ। বিশেষ করে বর্তমানের যুদ্ধজনিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এ নামটি যথার্থ।’