আমেরিকার টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরে চার্চের সামনেই ঘটেছে এক ভয়াবহ নৃশংসতা। পুলিশ জানিয়েছে, অচেতন এক নারীকে রাস্তায় টেনে এনে বারবার ধর্ষণ করে এক ব্যক্তি।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি চোখে পড়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলের। তারা হঠাৎই চার্চের সামনে ফুটপাথে এক ব্যক্তিকে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে দেখে গাড়ি থামান।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। এ সময় তারা দেখেন- অভিযুক্ত ওই নারীর প্যান্ট খুলতে চেষ্টা করছে। গুরুতর আহত মহিলাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চার্চের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়- ৩৪ বছরের ওই গৃহহীন নারী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় একা হাঁটছিলেন এবং পরে সিঁড়িতে বসে পড়েন। তখন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তার কাছে এসে বসে শারীরিকভাবে স্পর্শ করতে শুরু করে। ওই নারী কিছুটা প্রতিরোধ করলেও অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে সিঁড়ি থেকে টেনে মাটিতে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অচেতন নারীকে চারবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ২ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১.৬ কোটি টাকা) জামিনের শর্তে আটক রয়েছেন। নিহত নারীকে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়; তিনি দীর্ঘদিন ন্যাশভিলের রাস্তায় গৃহহীন অবস্থায় বসবাস করছিলেন।
চার্চের বিপরীতে কর্মরত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এটি ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক। রাতের বেলায় চার্চের সামনে এ ধরনের ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করেছে। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ঘটনা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গৃহহীন নারী ও নেশাগ্রস্ত মানুষের সুরক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তথ্য সূত্র- ফক্স নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ