আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও দক্ষতায়, ন্যায্যতায় নিশ্চয়তায়’ স্লোগানকে সামনে রেখে নয় দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।
রবিবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আরিফ উল্লাহ এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য ২৪ ’-এর সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী আট দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আট দফা ইশতেহার হলো- প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করা, গেস্টরুম-গণরুম সংস্কৃতি বিলুপ্ত করা, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা; শিক্ষাবান্ধব নিরাপদ, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাস; পরিকল্পিত আবাসন ও খাবারের উন্নত মান নিশ্চিতকরণ; নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা; মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা; সুসমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থাপনা; ক্রীড়াচর্চা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য; পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণ ও প্রাণিবান্ধব ক্যাম্পাস।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ঘোষিত নয় দফা ইশতেহারে রয়েছে- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে ফ্যাসিবাদমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করা; সেশনজট নিরসনে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন, মানোন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, দলীয় বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ও শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় পূর্ণাঙ্গ ইকোলজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ, কনজারভেশন ক্যাম্পেইন, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও রিসাইক্লিং ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ; র্যাগিং, গেস্টরুম কালচার ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, ডাইনিংয়ে ৫০% ভর্তুকি আদায়, সুলভমূল্যে মানসম্মত খাবার সরবরাহ ও প্রতিটি তলায় বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন; ক্যাফেটেরিয়ায় তিনবেলা খাবার ও বিকালের নাস্তা চালু, ডিজিটাল কুপন সিস্টেম সংযোজন, পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল সেবা, ২৪/৭ অ্যাম্বুলেন্স চালু ও স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিতকরণ; খেলার মাঠ, জিমনেসিয়াম ও ইনডোর গেমস সুবিধার উন্নয়ন, প্রতিটি বিভাগ ও হলে পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী সরবরাহ, নিয়মিত আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন; যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ সেল শক্তিশালীকরণ, সাইবার বুলিং ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা, মা শিক্ষার্থীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, প্রতিটি ভবনে নারী কমনরুম ও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা; ক্যাম্পাসের দাফতরিক কার্যক্রমে অটোমেশন, স্মার্ট আইডি কার্ড চালু, অভ্যন্তরীণ পরিবহন সমস্যা সমাধান, ফুটপাত নির্মাণ ও পরিবহনে ‘লাইভ ট্র্যাকিং অ্যাপ’ সংযোজন; বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য র্যাম্প, লিফট, ব্রেইল বই, অডিও বুক, ই-লার্নিং টুলস ও শ্রুতিলেখক সুবিধা নিশ্চিত করা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন