দীর্ঘ ২৮ বছর পর যশোর-৬ (কেশবপুর উপজেলা) আসনে এবার বিজয়ের স্বপ্ন দেখছে বিএনপি। এ আসনে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইছেন দুই নেতা। তারা হলেন- ২০১৮ সালে মনোনয়ন পাওয়া কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। এবারও তিনি দলের মনোনয়ন চাইছেন। এ ছাড়া দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। এ ছাড়াও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন। এ আসনে বিএনপির বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জামায়াতের কেশবপুর উপজেলা আমির অধ্যাপক মুক্তার আলী। মূলত এবার বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কেশবপুর বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আবুল হোসেন আজাদের সম্পর্ক ভালো। দলের দুঃসময়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আছেন। এদিক থেকে তিনি বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপুও এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ আসনের বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু ভোটের সঙ্গে মাঠের হিসাব-নিকাশ যোগ করলে এবং দলীয় মনোনয়ন পেলে অপুর সম্ভানাও উড়িয়ে দেওয়ার নয়। আবুল হোসেন আজাদ বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে দলের সবচেয়ে দুঃসময়েও আমি নেতা-কর্মীদের ছেড়ে যাইনি। মামলা, হামলা, নির্যাতনের শিকার নেতা-কর্মীদের জজকোট, হাই কোর্ট, জেলখানা, হাসপাতাললে দেখাশোনা করেছি। ২৫ বছর ধরে এলাকায় দলকে সংগঠিত করছি। এসব বিষয়সহ সততা, যোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে আশা করি।’
অমলেন্দু দাস অপু বলেন, ‘ছাত্রদল থেকে যুবদল হয়ে এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছি। এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছি। যশোর-৬ আসনে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। মাঠপর্যায়ে ভোটের আরও কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। সব মিলিয়ে দলের মনোনয়ন পেলে আমি জয়ী হতে পারব বলে আশাবাদী।’ জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী বলেন, ‘এর আগে আমি চারদলীয় জোট ও জামায়াতে ইসলামীর হয়ে দুবার প্রার্থী হয়েছিলাম। কেশবপুর কলেজের সাবেক শিক্ষক হিসেবে এলাকায় আমার পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে। বিএনপির প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, ভোটযুদ্ধে তাদের সঙ্গে আমার সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না বলেই মনে করি।’