বলের রঙ বদলেছে, গায়ের পোশাক, ম্যাচের দৈর্ঘ্যও ভিন্ন, তবে ইমাম-উল-হকের অবিশ্বাস্য ফর্ম রয়েছে একইরকম, বরং ঔজ্জ্বল্য আরও বেড়েছে। ইংল্যান্ডের ওয়ানডে কাপে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান দেশে ফিরে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন লাল বলের ক্রিকেটে।
চার দিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট হানিফ মোহাম্মাদ ট্রফিতে ২৯১ বলে ৩৩০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ইমাম। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি গড়া ৩৪ চার ও ৮ ছক্কায়।
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে কাপে ইয়র্কশায়ারের হয়ে আট ম্যাচে ৯৮.২৮ গড় ও ৯৭.৪৫ স্ট্রাইক রেটে ইমাম করেন ৬৮৮ রান। সেঞ্চুরি করেন চারটি, ফিফটি তিনটি। গত রোববার সেমি-ফাইনালে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় তার দল। ওই ম্যাচে তিনি খেলেন ৯৭ বলে ১০৫ রানের ইনিংস।
সেই ফর্ম তিনি বয়ে আনলেন নিজের দেশ পাকিস্তানের মাঠেও। সব মিলিয়ে ২৯ দিনের মধ্যে সেঞ্চুরি করলেন পাঁচটি। করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে মুলতান রিজিওনের হয়ে ডেরা মুরাদ জামালি রিজিওনের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে ইমাম অপরাজিত ছিলেন ১৮২ বলে ১৭৬ রানে। শনিবার তৃতীয় দিন দ্রুত রান তুলে প্রথমে ডাবল ও পরে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন মুলতান অধিনায়ক। ফরহাদ হুসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ৩৩০ রানের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ডেরা মুরাদ জামালি রিজিওনের ৩৬১ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৬৬৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মুলতান রিজিওন। ইমামের ট্রিপল ছাড়া দলটি হয়ে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন শারুন সিরাজ।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হানিফ মোহাম্মাদের নামকরণে এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোর প্রথম শ্রেণির স্বীকৃতি নেই। চার দিনের ম্যাচের গ্রেড-২ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এটি। ১০টি আঞ্চলিক দল অংশ নেয় এখানে। এই দলগুলোর জন্য পাকিস্তানের প্রধান প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে জায়গা করে নেওয়ার ধাপ হিসেবে কাজ করে হানিফ মোহাম্মাদ ট্রফি।
যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে ইমামের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস অবশ্য এটিই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে তার। যার একটি অপরাজিত ২০০ রানের, অন্যটি অপরাজিত ২০২।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে খেলার পর আর এই সংস্করণে সুযোগ পাননি ইমাম। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা ইমাম এই বছর জায়গা হারান ওয়ানডে দলেও। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে প্রথমে জায়গা না হলেও পরে ফাখার জামানের বদলি হিসেবে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। এখন রানের স্রোত বইয়ে দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার দাবি জোরাল করছেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ