একাধিক দাবিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) গতকাল দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একদিকে শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননকে হেনস্তার প্রতিবাদে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন, অন্যদিকে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। একই সঙ্গে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে চতুর্মুখী এ বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রদল প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ‘লাল কার্ড’ প্রদর্শন করে। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন, প্রশাসন শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নারী শিক্ষার্থীদের মানহানি ও ফেসবুকে স্লাট-শেমিংয়েরও প্রতিবাদ জানান।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাজেদুর রহমান মারুফ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নিরাপত্তা দিতে যারা ব্যর্থ, তারা প্রশাসনে থাকার যোগ্য নয়।’
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, ‘আমাদের সহপাঠীদের ওপর হামলাকারীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত বিচার না হলে প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতারা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। যার প্রথমটি প্রক্টর বডির পদত্যাগ। তারা হুঁশিয়ারি দেন, সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘প্রশাসনের ব্যর্থ ব্যক্তিদের লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আহতদের উন্নত চিকিৎসা, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিচারসহ ব্যর্থ প্রক্টরিয়াল বডি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করছি।’