ব্যাংক খাত সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে গতকাল অনুষ্ঠিত শুনানিতে একীভূত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ড. কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে ব্যাংকটির ঋণ স্থিতি প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এককভাবে এস আলম গ্রুপ নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, যা সবই খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত রয়েছে ২৫ শতাংশেরও কম। এর আগে ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হওয়ার সম্মতি দিয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক এখনই একীভূত হতে রাজি হয়নি। ব্যাংকটির পর্ষদ অন্তত দুই বছর সময় চেয়েছে। উল্লেখ্য যে, এক্সিম ব্যাংক থেকেও বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যেখানে সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। একীভূতকরণ বিষয়ে সপ্তাহব্যাপী চলমান শুনানিতে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন, ফার্স্ট সিকিউরিটি, এক্সিম ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক অংশ নিয়েছে। শেষ ধাপে অংশ নেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। শুনানিতে প্রতিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাদের আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।