টানা ৫ মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর ২৯ জুলাই থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। সবার সরব উপস্থিতিতে স্বস্তি ফেরে সবুজ ক্যাম্পাসে। যা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে শিক্ষক সমিতি আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে ফের পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করেছে। গতকাল শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ ও দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন প্রশাসনিক ভবনে আধা ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।
জানা যায়, কুয়েটে নতুন ভিসি হিসেবে ড. মাকসুদ হেলালী যোগদানের পর গত কয়েক দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষায় গঠিত ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এদিকে কুয়েটে নতুন করে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দাবি করে গতকাল দুপুর ২টায় কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে মহানগর বিএনপি। কিন্তু সাংবাদিকরা উপস্থিত হলেও বিএনপি নেতারা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেন। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আমরা এ মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করছি না। তবে উ™ূ¢ত পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছি ও কুয়েট ফের অশান্ত যেন না হয় এজন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারিক কার্যক্রমের জন্য সমিতির দেওয়া তিন সপ্তাহ সময় পার হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য শিক্ষক সমিতি অবস্থান কর্মসূচি পালন ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি আহ্বান করেছে। তিনি বলেন, তিন সপ্তাহ পার হলেও তিনি (ভিসি) কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেননি। বরং তিনি যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন তা বিভ্রান্তিকর। ডিসিপ্লিনারি কমিটি পরিবর্তন করে তিনি নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন। এর বাইরে আর কোনো পদক্ষেপ নেননি। ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ছাত্রবান্ধব একজন শিক্ষককে সরিয়ে সেখানে বিতর্কিত একজনকে আনা হয়েছে। একজন হল প্রভোস্টকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।