হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রথমবারের মতো বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি অবতরণ করেছে। টার্মিনাল-৩ ব্যবহার করা প্রথম বিমানটি হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। গত সোমবার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এ প্যাসেঞ্জার বোর্ডিং ব্রিজ (পিবিবি) এবং ভিজ্যুয়াল ডকিং গাইডেন্স সিস্টেম (ভিডিজিএস) ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে নতুন এ টার্মিনালে প্রথম অবতরণের স্বীকৃতি পেয়েছে। এদিন সকালে বিমানটি রোম থেকে ফিরে তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানায়, ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন এবং ফার্স্ট অফিসার তাহসিন তাকে সহায়তা করেন। বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান এ অপারেশনাল মাইলফলক প্রত্যক্ষ করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যাত্রী নামানোর পর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ডিজিএস, বোর্ডিং ব্রিজে বাহ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। টার্মিনাল ৩-এর অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং বর্ধিত পরিষেবা সক্ষমতার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর আগে, ২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এরপর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ৩০ লাখ বর্গফুট জায়গায় তিন তলা বিশিষ্ট এ টার্মিনাল ভবনটির আয়তন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এবং লম্বা ৭০০ মিটার ও চওড়া ২০০ মিটার। এ ভবনটির নকশা করেছেন রোহানি বাহারিন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুরের স্থপতি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টার্মিনাল ৩-এর এই পরীক্ষামূলক অপারেশন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।