বক্সিং কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীকে কে না চেনে। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ‘অপরাজেয়’ সনি লিসটনকে পরাজিত করে হেভিওয়েট বক্সিংয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের প্রথম মুকুট ধারণ করেন সর্বকালের সেরা এ ক্রীড়াবিদ। পরিবারসহ ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, ‘স্বর্গ দেখতে চাইলে বাংলাদেশে যাও।’ শতাব্দীর সেরা এ ক্রীড়াবিদের শিষ্য ছিলেন এশিয়ার বক্সিংয়ের কিংবদন্তি অরভিন্দ লালওয়ানি। মোহাম্মদ আলীর অধীনে অনুশীলন করেছিলেন সিঙ্গাপুরের এ বক্সিং কোচ। এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছেন বিশ্ব বক্সিং কাউন্সিলের এ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর। বসুন্ধরা জুলকান ইনডোর অ্যারেনায় (বক্সিং ক্লাব) দুই দিনের বিশেষ বক্সিং ট্রেনিং কোর্স করিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ঘুরে দেখেছেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি। দুই দিনের সেশন শেষে গতকাল জুলকানের আটজন ট্রেইনারকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অরভিন্দ লালওয়ানি বলেন, ‘সবার আগে মানুষ হিসেবে ট্রেইনাররা খুবই দারুণ। তাদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। তাদের বেসিকটা ভালো। তবে উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে। ওরা এখনো শিখছে। আশা করি ভালো করবে।’ জুলকান ফাইটিং ক্লাবেরও প্রশংসা করেছেন, ‘এখানে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমি এতটাও ভাবিনি। যা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই। এমনকি সিঙ্গাপুরেও এ রকম কিছু নেই। এটা দারুণ, ভবিষ্যতে এটা এগিয়ে যাবে।’ এখানে মূলত এ কিংবদন্তির আসার কারণ, জুলকানকে প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশের বক্সিংকে আরও সমৃদ্ধ করা। সিঙ্গাপুরের সাবেক এ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে আহমেদ ইব্রাহিম সোবহান (বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর) আমার জিমে শরীরচর্চা করত। ওখানেই ওর সঙ্গে আমার পরিচয়। সে খুবই ক্রীড়া অনুরাগী। সব সময় নতুন কিছু করতে চায়। এটাকে প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধ করতেই তার মাধ্যমে এখানে আসা।’ এ ছাড়া বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির প্রশংসা করেন তিনি, ‘এখানকার গোল্ডস জিম, ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম, এমনকি ইনডোর-আউটডোর প্লে গ্রাউন্ড বিশ্বমানের। দেখলাম এখনো কাজ চলমান। কাজ সম্পন্ন হলে এটা একটি ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস’ স্পোর্টস জোন হবে।’ সবশেষে বাংলাদেশের খাবারের গুণকীর্তন করেন অরভিন্দ। কিংবদন্তির কাছে কোর্স শেষে জুলকানের ট্রেইনাররাও বেশ উচ্ছ্বসিত।
লিমা ত্রিপুরা বলেন, ‘নতুন করে অনেক কিছুই শিখেছি। এখন আলাদা স্পিড পাচ্ছি। এ ছাড়া ট্রেইনি ও ফাইটারদের কীভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে কমিউনিকেশন এবং গেমের আগে প্রিপারেশন নিয়ে শিখেছি আমরা।’