যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে কোন বিদেশি শক্তির সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপন প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তান। শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর এমন অবস্থান নেয় দেশগুলো। তালেবান প্রশাসনকে ট্রাম্প আহ্বান জানান আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের (পেন্টাগন) কাছে হস্তান্তর করতে।
বেইজিংয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে আফগানিস্তান ইস্যুতে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির বর্তমান সংকটের জন্য দায়ী পক্ষগুলোর দ্বারা সেখানে বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি পুনঃস্থাপনের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি, চীনের আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত ইউয়ে শিয়াওয়ং এবং পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক উমের সিদ্দিক।
বৈঠকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করেন চীনা দূত ইউয়ে শিয়াওয়ং। গুয়ো জিয়াকুন বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলো তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় মর্যাদাকে কতটা সম্মান করে।’
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাগরাম বিমানঘাঁটি যদি পেন্টাগনের হাতে তুলে না দেয়, তবে তালেবান প্রশাসনের জন্য খারাপ কিছু ঘটবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ