বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দুই দিনের বক্সিং প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা করলেন সিঙ্গাপুরের কিংবদন্তি বক্সিং কোচ অরভিন্দ লালওয়ানি।
রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর অ্যারেনায় আয়োজিত এ ক্যাম্পে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোচ ও খেলোয়াড়রা। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন লালওয়ানি।
প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শেষে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষজন খুব ভালো ব্যবহার করেছে। জুলকান একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমি যেসব অ্যারেনা দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম সেরা। এমন কিছু সিঙ্গাপুর ছাড়া আর কোথাও পাওয়া মুশকিল।’
লালওয়ানি মনে করেন, জুলকান বাংলাদেশের কমব্যাট স্পোর্টসের ভবিষ্যতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ‘এখানে সত্যিই বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা আছে। আমি নিশ্চিত, এখান থেকেই দেশের কমব্যাট স্পোর্টসের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।’
লালওয়ানি পুরো বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ২৪টি খেলার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। চাইলে এখানেই অলিম্পিক আয়োজন করা সম্ভব। আমি সারা বিশ্ব ঘুরেছি, কিন্তু এমন কিছু আগে দেখিনি।’
বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর মো. ইব্রাহীম সোবহানের ভিশন নিয়েও প্রশংসা করেন লালওয়ানি। তিনি বলেন, ‘জুলকানের ভিশন অসাধারণ। অ্যারেনা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি, কিন্তু যখন শেষ হবে, এটা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা কমব্যাট স্পোর্টস অ্যারেনা। এখানেই বিশ্বমানের ফাইট আয়োজন সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের উন্নতি করতে হলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ও জুলকানের সঙ্গে পার্টনারশিপ করা উচিত। একসঙ্গে কাজ করলে আরও ভালো কিছু তৈরি করা সম্ভব।’
বাংলাদেশি খাবার ও মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ লালওয়ানি বলেন, ‘খাবার অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি, বাংলাদেশ শিগগিরই আমার দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠবে। অবশ্যই আমি আবার আসব।’
কোর্সে অংশ নেওয়া কোচদের নিয়েও আশাবাদী তিনি। সিঙ্গাপুরের কিংবদন্তি এই বক্সিং কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রশিক্ষকরা খুব দ্রুত শেখে এবং আগ্রহী। আমার বিশ্বাস, তাদের হাতেই বাংলাদেশের কমব্যাট স্পোর্টসের ভবিষ্যৎ ভালো থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ