নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত। আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এখনো প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা না হলেও দলীয় মহাসচিব হিসেবে তাঁর প্রার্থিতা নিশ্চিত। সে কারণে এ আসনে অন্য জায়গার মতো বিএনপি থেকে আর কেউ মনোনয়নপ্রত্যাশী নন। বিগত নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। সে কারণে এটা তাঁর আসন হিসেবেই সর্বজনবিদিত। বর্তমানে দল তাঁর জন্যই প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে ব্যাপকভাবে গণসংযোগ করছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জাকের পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ। এ আসনে জামায়াত থেকে প্রার্থী করা হয়েছে দেলোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলন থেকে মাওলানা মো. হাফিজ উদ্দিন, খেলাফত মজলিস থেকে আলহাজ হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদ সাইফি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মো. ফয়জুল হক প্রধানকে। জাতীয় পার্টি থেকে বলা হচ্ছে, তারা রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরীকে প্রার্থী করতে পারে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বাংলাদেশ তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঠাকুরগাঁওয়ের সদস্যসচিব, সাবেক ছাত্রনেতা মাহাবুব আলম রুবেল।
মাঠপর্যায়ের তথ্যানুযায়ী, এবার এ আসনে আওয়ামী লীগ নেই, তার পরেও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ নেই বিএনপির। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছে জামায়াত। অন্য পক্ষগুলোও ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছে। তবে হিসাবনিকাশ বলছে, যারাই হিন্দু ভোটব্যাংক, ভাসমান ভোটার ও নতুন ভোটার টানতে পারবে তাদের প্রার্থীই এবার এ আসন থেকে জয়ের মুকুট পরতে পারেন।
হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছুদিন আগে উল্লেখ করেছিলেন, ‘আমাদের ঠাকুরগাঁও সম্ভাবনাময় একটি জেলা। তবে এটি এখনো অনুন্নত, পিছিয়ে পড়া জেলা। এ জেলাকে এগিয়ে নিতে হবে। আর এর জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা চাই, যেন ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তৃপ্তি পান।’ তিনি ভোটে জয়ের ব্যাপারে আরও বলেছিলেন, ‘জয় তো প্রার্থীর হয় না, জয় হয় ভোটারের। ভোটাররা যদি নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেটাই হবে আমাদের বিজয়।’ জামায়াতের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আল্লার আইন বাস্তবায়ন করতে ও জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটাতে চাই। শান্তির বাংলাদেশের জন্য জামায়াত কাজ করছে। মাদকমুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করে আমরা জাতিকে নতুন দেশ উপহার দিতে চাই।’