বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর জমি উদ্ধার করে উন্মুক্ত করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য। দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুবিধার্থে নতুন করে টিকিট কাউন্টার, প্রবেশ ও বাহির গেট, স্যুভেনির শপ ও জু-মিউজিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। পাশাপাশি নতুন করে সার্ভিস রোড ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চিড়িয়াখানার নতুন জায়গা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে চিড়িয়াখানাটি একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর চিড়িয়াখানার উদ্ধারকৃত প্রায় ১০ একর জমি ফের সীমানা প্রাচীর ভেঙে দখল করে দুর্বৃত্তরা। সন্ত্রাসীরা চিড়িয়াখানার উন্নয়নমূলক কাজের মালামাল লুট করে। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে চিড়িয়াখানার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রবেশ করতে পারেনি। জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উদ্যোগ নিয়ে ওই জায়গাটি পুনরায় দখলমুক্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত সীমানা প্রাচীর মেরামত করেন। উদ্ধার করা ওই জমিতে এখন চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ রাস্তা ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানার ভিতরে আরও আনন্দঘন সময় কাটাতে পারবে। আগামী সপ্তাহে এ সড়ক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার কথা। এ ছাড়া চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় দ্বিগুণ হবে। এতে করে নতুন নতুন প্রাণীর খাঁচা সংযোজন করার পরিকল্পনা করছেন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা আরও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চলমান কাজগুলো কিছু দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন জায়গা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলে চিড়িয়াখানাটি একটি আধুনিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের জমি বেদখল হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা জমিতে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এতে চিড়িয়াখানার আয়তন বৃদ্ধি হওয়াসহ নতুন নতুন প্রাণী সংযোজন করা সম্ভব হবে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় পরিদর্শন করে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে সময় কাটায়।