টানা ভারী বর্ষণে মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যে নজিরবিহীন ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে।
গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে।
রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে প্রায় ৯০টি ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও সড়ক ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে।
এ মৃত্যু সংখ্যা ১৯৯৬ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সর্বোচ্চ, যখন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘গ্রেগ’-এর আঘাতে কেনিনগাউ জেলায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং নদী তীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়।
রাজধানী কোটাকিনাবালুর উপকণ্ঠে কামপুং সেন্দেরাকাসিহ এলাকায় একই পরিবারের সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে, যাদের বয়স দুই থেকে নয় বছরের মধ্যে।
রাজধানী থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের পাপার জেলার কামপুং মারাগান তুনতুল এলাকায় ভূমিধসে এক নারীর (৩৪) সঙ্গে তার ছয় ও দশ বছর বয়সী দুই সন্তান নিহত হন। একই জেলায় কামপুং মুক গ্রামে ধসের ঘটনায় আরেক নারী (৩৮) ও তার ১১ বছর বয়সী ছেলেও প্রাণ হারান।
জিন চং নামের ৩৮ বছর বয়সী এক বাসিন্দা, যার বাড়ি পেনাম্পাং জেলায় নিয়মিত বন্যায় প্লাবিত হয়।
তিনি বলেন, “এটা সত্যিই ভয়ঙ্কর। বন্যা প্রায় প্রতিবছরই হয়, তাই আমরা তাতে অভ্যস্ত। কিন্তু এত বিপুল সংখ্যক ভূমিধস আগে কখনো হয়নি।” সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/নাজিম