জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের জন্মভূমি মৌলভীবাজার (কুলাউড়া)-২ আসন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এ আসন থেকে এবার বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী ছয় নেতা। তারা হলেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শওকতুল ইসলাম শুকু, যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল আহাদ, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান শিপলু, যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুবায়ের আলী।
এ আসনে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য প্রকৌশলী এম সাহেদ আলীকে প্রার্থী করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ছাড়া প্রার্থী হয়েছেন আনজুমানে আল-ইসলাহ থেকে কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান, খেলাফত মজলিসের সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান খোকন এবং জাতীয় পার্টির কাজী জাফর গ্রুফ সমর্থিত হেভিওয়েট প্রার্থী তিনবারের সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খাঁন। মৌলভীবাজারের চা বাগান ও এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ মিঠা পানির জলাশয় হাওড় হাকালুকি বেষ্টিত কুলাউড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-২ আসন। এই আসনে ভোটারদের কাছে রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে ব্যক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। অতীতের সব কয়টি নির্বাচনে এমনটি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হেভিওয়েট নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী আবেদ রাজা বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদকমুক্ত কুলাউড়া চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। বিএনপির দুঃসময়ে রাজ পথে ছিলাম। বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। সব দিক বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে- এটা আমার বিশ্বাস।’ জামায়াতের প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ হলে ইনশাল্লাহ বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়ন, জনদুর্ভোগ লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব।’