আইন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত কমিটি ১৬টি সভার মধ্যদিয়ে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে কমিটি এসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সহযোগিতাও চেয়েছে। সূত্র : বাসস।
গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে। এসব সভায় মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চলতি বছরের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল এক হাজার ২০০টি মামলার তালিকা দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলা এরই মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল দুটির পাঠানো তালিকার সঙ্গে মামলাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি (এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) না পাঠানোর কারণে অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েক দিন আগে ২০ মে ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।