সরকার আন্তরিক থাকলে সশস্ত্র বাহিনীর বহুমাত্রিক ব্যবহার করে ১৫ দিনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভূতপূর্ণ উন্নতি করা সম্ভব বলে মনে করেন জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার ব্যবহার’ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম কামাল বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পরে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। ক্রমান্বয়ে এ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়ছে। গত এক মাসে শিশু ধর্ষণ এবং মব জাস্টিসের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটা ভঙ্গুর। প্রায় ৬ মাস ধরে সশস্ত্র বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হচ্ছে না। এমন অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করুক না হয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে নেওয়া হোক। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের দখলদারি ও চাঁদাবাজি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র হত্যা মামলাকে পুঁজি করে সারা দেশে অসংখ্য মিথ্যা মামলা হয়েছে। সরকার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে সতর্কতা বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি না করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। অনেক সাধারণ নিরীহ মানুষ ঘরে ঘুমাতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে দীর্ঘদিন মাঠে রাখার ফলে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সম্মেলনে জনতার দলের সদস্যসচিব আজম খান, প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্র মেজর (অব.) ডেল এইচ খানসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।