সুনামগঞ্জের দিরাই সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশির সময় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যকে ট্রাকে নিয়েই পালিয়ে যায় একদল ডাকাত। প্রায় এক ঘণ্টা পর অন্য থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে দিরাই উপজেলার শরিফপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, দিরাই থানার এসআই মো. মোহন মিয়ার নেতৃত্বে দিরাই-সুনামগঞ্জ সড়কের শরীফপুর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশ। এ সময় একটি মিনি ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা তিন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ ট্রাকটি থামায়। পুলিশ কনস্টেবল মামুনুর রশিদ ট্রাকটি তল্লাশির জন্য ওঠামাত্র চালক ট্রাকটি নিয়ে দ্রুত সুনাগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই মোহন বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের টহল দল অভিযানে নামে। ইতোমধ্যে চলন্ত ট্রাকের পেছন থেকে তিনজন ডাকাত সদস্য লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। রাত ১টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ট্রাকটি একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এতে কারের চালকসহ তিনজন যাত্রী আহত হন। পরবর্তীতে ট্রাকচালক ও তার এক সহযোগীকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ আটক করে। এ সময় স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে ওই দুই ব্যক্তি আহত হয়। আটক দুই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আটকের পর ট্রাকটি তল্লাশি করে দুটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ ও একটি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ভান্ডা মল্লিকপুর গ্রামের নুরুল আমিন (৩৮) ও টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার ব্রাহ্মণখোলা গ্রামের মো. শাহ আলম (৪০)।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন জানান, ওই ডাকাত দল গরু চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধ চুরির পাশাপাশি ডাকাতি করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।