দেশের সব অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিককে একই শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং আগামী ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘আইএলও রোডম্যাপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি : ট্রেড ইউনিয়নের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) বাংলাদেশ কাউন্সিল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল ও পিএসআই-এনসিসি ফর বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইটিইউসি বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী। এ সময় বক্তব্য রাখেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি শহিদুল্লাহ বাদল। আইইটিইউসি বাংলাদেশ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল সাকিল আখতার চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাসে বেশ কিছু জায়গায় আমরা শ্রম অসন্তোষ দেখেছি। দেখা গেছে, সব ক্ষেত্রেই ঠিকভাবে মজুরি না পাওয়ায় শ্রমিকেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার এক জায়গায় অসন্তোষ হলে সেটি ছড়িয়ে যায়। সুতরাং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়ে দেওয়া উচিত। এ সময় বক্তারা বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন। সেগুলো হলো- শ্রমিক সংজ্ঞা বিস্তৃত করতে হবে, যাতে শ্রম আইন সুরক্ষা সব শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হয়। সব শ্রমিকের জন্য পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করতে হবে।
ৃসরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান ২৪ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সীমিত করে ট্রেড ইউনিয়নের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও সব খাতে মজুরি কমিশন গঠন করতে হবে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাদের আইনগত পরামর্শদাতা নিয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিক নেতাদের নামে করা হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।