বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে যান। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তথ্যটি আবরারের পরিবারকে জানায়নি। জেমির আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত থাকলে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যটি প্রকাশ্যে আসে। আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি তুলে ধরে দেরিতে তথ্য প্রকাশের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, জেমি ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। সেদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মোট ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যান। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট কারা কর্তৃপক্ষ গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলায় নাম উল্লেখ থাকা আসামির একজন জেমি। তবে এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘জেমি মৃত্যুদ প্রাপ্ত আসামি। তাকে তো কনডেম সেলে রাখার কথা। তাহলে সে কীভাবে পালাল?’ তিনি আরও বলেন, ‘এ তথ্য এতদিন গোপন রাখার অর্থই হলো, তাকে ধরার কোনো চেষ্টাই করা হয়নি।’ হাই কোর্ট যে কোনো দিন আবরার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করতে পারেন। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ।