অভিবাসনবিরোধী অভিযানে জটিলতা তৈরি করছে মনে করে ট্রাম্প প্রশাসন হোয়াইট হাউসের তিনটি দপ্তরের বিলুপ্তি ঘটাতে যাচ্ছে। ২১ মার্চ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলোলিন জানান, এ দপ্তরগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্য অফিস ফর সিভিল রাইটস অ্যান্ড সিভিল লিবার্টিজ, দ্য অফিস অব দ্য ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ওম্বাডসম্যান এবং দ্য অফিস অব দ্য সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস ওম্বাডসম্যান।
ট্রিসিয়া ম্যাকলোলিন বলেন, তদারকির নামে ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করছে বলেই দপ্তর তিনটির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। উল্লেখ্য, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের ২ লাখ ৬০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে এসব দপ্তরে রয়েছেন মাত্র ৩০০ কর্মচারী। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের আরও ২০টি সংস্থার কাজকর্মের তদারকির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছে ‘দ্য অফিস ফর সিভিল রাইটস অ্যান্ড সিভিল লিবার্টিজ’।
মুখপাত্র ম্যাকলোলিন উল্লেখ করেন, এসব অফিসের কর্মীরা ৬০ দিনের মধ্যে অন্য দপ্তরে একীভূত হবেন। সেটি সম্ভব না হলে তারা আপনা-আপনি বরখাস্ত বলে গণ্য হবেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বদ্ধপরিকর সীমান্ত সুরক্ষা ও সিটিজেনদের নিরাপত্তা নিয়ে। তাই যারা এক্ষেত্রে বাধা বলে বিবেচিত হবেন তাদেরই বরখাস্তের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল অপরাধী অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারের, তা যথাযথভাবে সম্পাদনে চেষ্টা চলছে।
এদিকে শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী এদিন কিউবার ১৮ জন অভিবাসী ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন। যাদের বৈধভাবে বসবাসের ন্যূনতম কোনো ডকুমেন্টস নেই তাদেরই গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারে অভিযান চলছে। সে কারণেই ওই ১৮ জনকে আদালতের বারান্দা থেকে গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কারের প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি মার্ক প্রদা। তিনি বলেন, এ ১৮ জনের আগে আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে-যারা ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।