মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা একটি ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রামাফোসা প্রশাসন এই বছরের সভাপতিত্বকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে প্রথম দিনে এই ঘোষণাপত্র গ্রহীত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মুখপাত্র ভিনসেন্ট ম্যাগওয়েনিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘোষণাপত্রের জন্য পুরো বছর কাজ করতে হয়েছে। গত সপ্তাহে তা নিয়ে তীব্র আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটন যে ভাষা ব্যবহার করে বিরোধিতা করেছে, সেই ভাষা ব্যবহার করে ঘোষণাটি পুনরায় আলোচনা করা যাবে না।
এদিকে সম্মেলনে ঘোষণাপত্র অনুমোদনের আগেই শেষ মুহূর্তে আলোচনার বাইরে চলে যায় আর্জেন্টিনার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাবলো কুইর্নো বলেন, ঘোষণাপত্রের মধ্যে কিছু ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ের কারণে আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত সংক্রান্ত ভাষা আর্জেন্টিনার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
ঘোষণাপত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব, নবায়নযোগ্য শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্য এবং দরিদ্র দেশগুলির ঋণ সমাধানের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তনকে বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক, তাই তারা ঘোষণাপত্রের ভাষাকে সমর্থন করেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, আমাদের এমন কিছু হতে দেওয়া উচিত নয় যা প্রথম আফ্রিকান জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্বের মর্যাদা ও প্রভাবকে কমিয়ে আনে।
এছাড়া চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সমাবেশে বলেছিলেন, জি-২০ দলের মধ্যে স্বার্থের পার্থক্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতার ত্রুটি আন্তর্জাতিক ঐক্যের প্রধান বাধা। আমরা একসাথে সমস্যার সমাধান ও সমন্বয় করার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সম্মেলনে সভাপতিত্ব হস্তান্তর সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ম্যাগওয়েনিয়া বলেন, প্রেসিডেন্ট কোনও জুনিয়র দূতাবাস কর্মকর্তার কাছে জি২০ সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবেন না। এটি প্রোটোকলের লঙ্ঘন। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চ্যার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সের সমান পদমর্যাদার কূটনীতিক নিয়োগ করবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল