তিনদিনের আমেরিকা গেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তিনি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৃষ্ট উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ক টালমাটাল হয়ে পড়ে। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সন্দেহের আঙুল ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের দিকে।
সেই ঘটনার প্রায় সাত বছর পরে এই প্রথম সৌদি যুবরাজ আমেরিকা সফরে গেলেন। বৈঠকে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং পরমাণু শক্তি সংক্রান্ত নানা বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও বিশেষ নজরে থাকবে।
প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, আলোচনা হতে পারে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ বা আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নিয়ে। তবে সৌদি আরব স্পষ্ট জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্র সমাধানের ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না রিয়াদ।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, বিশেষ করে লকহিড মার্টিনের এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি আলোচনায় রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ সফর যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সুসম্পর্ক বহু পুরনো। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরে বিপুল বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি ও রাজকীয় অভ্যর্থনায় তা আরও দৃঢ় হয়। সম্প্রতি মায়ামিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হওয়া এক সভায় ট্রাম্প বলেন, আরও দেশ আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দিচ্ছে এবং ‘খুব শিগগিরই’ সৌদি আরবও সেখানে যোগ দেবে বলে তিনি আশা করছেন।
তবে হামাসের ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রিয়াদ এখন কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
বিডি প্রতিদিন/কামাল