বিশ্বের অর্থনীতির অন্যতম দুই শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা চরমে। পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতোমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে সে উত্তেজনা কমার দিকে যাচ্ছে। কোরিয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকের আগেই দেশ দুটি বাণিজ্যচুক্তির কাঠামো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
মালয়েশিয়ায় চলমান আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে এ বিষয়ে চুক্তি হয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, এই চুক্তি অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে চীনা পন্যে ১০০ ভাগ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি স্থগিত হবে। টিকটক বিক্রির বিষয়টিও চূড়ান্ত হবে।
বেসেন্ট আরও জানান, চীন এক বছরের জন্য যুদ্ধবিমান, স্মার্টফোন ও বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে যাচ্ছে।
অন্যদিকে চীনের প্রধান বাণিজ্য কর্মকর্তা লি চেংগ্যাং বলেন, উভয় পক্ষ একটি 'প্রাথমিক সমঝোতায়' পৌঁছেছি। এখন দুদেশ অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। আমরা পারস্পরিক উদ্বেগ সমাধানে গঠনমূলক আলোচনা করতে চেয়েছি।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এই সমঝোতা বিশ্বজুড়ে সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের ঝুঁকি কমিয়ে আনবে। দুই পরাশক্তির বাণিজ্য উত্তেজনা কমবে।
এদিকে, মালয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে ট্রাম্প বৈঠক করেছেন। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মধ্যেও সমঝোতার আশা দেখা যাচ্ছে। লুলা বলেন, বৈঠকটি ইতিবাচক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। উভয় দেশ শুল্ক ও অন্যান্য বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে।
আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প রবিবার মালয়েশিয়ায় গেছেন। এটি তার পাঁচ দিনের এশিয়া সফরের অংশ। এটি শেষ হবে দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের মাধ্যমে। যেটি আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি
বিডিপ্রতিদিন/এমই