ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির কারাবাস শুরু হয়েছে। লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধভাবে নির্বাচনী তহবিল নেয়ার দায়ে পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে তাকে। মঙ্গলবার তিনি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে কারাগারে পৌঁছান।
প্যারিসে সারোকাজির বাড়ির সামনে এসময় শত শত সমর্থক জড়ো হয়। তাদের মধ্যে সারকোজির দুই ছেলে লুই ও পিয়েরেও ছিলেন। পিয়েরে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, 'দয়া করে শুধু ভালোবাসার বার্তা পাঠান, এর বেশি কিছু নয়।'
এর আগে সারকোজি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, 'আমি নির্দোষ। সত্য একদিন জয়ী হবেই। তবে সেই সত্যের মূল্য ভয়াবহ।' তিনি আরও বলেন, 'তারা সাবেক প্রেসিডেন্টকে নয়, একজন নির্দোষ মানুষকে বন্দি করছে। ফ্রান্সের জন্য আমি গভীর দুঃখবোধ করছি।'
গত ২৫ সেপ্টেম্বর কারাদণ্ডের রায়ের পর সারকোজি বলেন, আদালতের রায়ে তিনি ‘ভীত নন’। কারাগারে থাকার সময় বই লেখারও ঘোষণা দেন তিনি।
প্যারিসের লা সান্তে কারাগারে সারকোজিকে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারের আইসোলেশন উইংয়ের একটি ৯ বর্গমিটার সেলে থাকবেন। একই কারাগারে মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কাজে দণ্ডিত বন্দিরা আছেন। সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাকে একাকী রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধান কারাগারে গেছেন। এর আগে ১৯৪৫ সালে নাৎসিদের সহযোগিতার দায়ে ফিলিপ পেতাঁকে এবং ১৭৯৩ সালে সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান রাজা ষোড়শ লুইকে কারাগারে যেতে হয়েছিল।
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাকে অর্থ দিয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/এমই