সুদানের দারফুর অঞ্চলে কুখ্যাত আধাসামরিক বাহিনী রবিবার একদল নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু, চারজন নারী এবং চারজন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন।
আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হাতে এটিই সবশেষ হত্যাকাণ্ড। বাহিনীটি আগের দিন উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ শহর এল-ফাশেরের একটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ করেছিল। এল-ফাশের ও কাছাকাছি শহর টুয়েলা’র সংযোগ সড়কে হামলাটি হয়েছিল।
সুদানের গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির চিকিৎসা পেশাজীবীদের সংগঠন সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক। তারা আরএসএফের এ হামলাকে ‘জাতিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছে। নেটওয়ার্কটি এল-ফাশার-তাউইলা সড়কের খাজান কলো এলাকায় এই হামলাকে “ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ” হিসেবে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলা “আরএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে চালানো চলমান জাতিগত নিধন ও গণহত্যার নতুন অধ্যায়” এবং এটি “সমস্ত আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
নেটওয়ার্কের মতে, “শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্য করা প্রমাণ করে যে আরএসএফ নাগরিকদের তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক সরানোর নীতি অনুসরণ করছে।”
এই হামলাটি “পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা আরএসএফ-এর নাগরিকদের এল-ফাশার থেকে সরানোর আহ্বানের সাথে সম্পূর্ণ বিরোধী।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আরএসএফ-কে এই হত্যাযজ্ঞের “সম্পূর্ণ দায়ী” বলে উল্লেখ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে “দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আরএসএফ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: আনাদোলু
বিডি প্রতিদিন/নাজিম