ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে তিনি জানিয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাতেই পদত্যাগপত্র তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দেন।
গত মার্চ মাসে হৃদরোগ জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খনখড়। পদত্যাগের কারণ হিসেবে নিজের স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করেছেন ধনখড়। চিঠিতে লিখেছেন, পরামর্শ মেনে নিজের স্বাস্থ্যে নজর দেওয়ার জন্যই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছেন তিনি। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই আর দায়িত্বে থাকছেন না তিনি।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ধনখড়। তিনি জানিয়েছেন, তার মেয়াদকালে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন। ৭৪ বছর বয়সি ধনখড় আরও জানান, উপরাষ্ট্রপতি থাকাকালে তিনি ভারতের অসাধারণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন। এ উন্নয়নে যোগদান করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন বলে জানিয়েছেন ধনখড়।
২০২২ সালের আগস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ধনখড়। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে ৩৪৬ ভোটে হারিয়ে দেশের উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তিনি। তবে বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চলতি বছরের মার্চে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এমসে ভর্তি হয়েছিলেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল।
ধনখড়ের আচমকা ইস্তফায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ সোমবারেও রাজ্যসভায় অধিবেশন পরিচালনা করেন ধনখড়। বেলা ১১টার সময় যথারীতি তিনি রাজ্যসভায় আসেন। সভার কাজও শুরু করেন। শুরু থেকেই বিরোধীরা পেহেলগামকা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন।
উপরাষ্ট্রপতি বিরোধী নেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দাবির সমর্থনে কথা বলার সুযোগও করে দেন। এরপর তিনি বলার সুযোগ দেন সভার নেতা বিজেপির জেপি নাড্ডাকেও। হইচইয়ের মধ্যে চেয়ারম্যান ধনখড় দুপুর ১২টা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতবি করে দেন। এরপর তিনি আর সভায় আসেননি। রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
সূত্র- রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ