গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রসহ এক ব্যবসায়ীকে আটকের জেরে র্যাবের গাড়ি আটক, সড়ক অবরোধ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে র্যাব। এতে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলাগুলোর একটি করা হয়েছে অস্ত্র আইনে এবং অপরটি সরকারি কাজে বাধা ও র্যাবের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে। দুটি মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর ইকবাল বাদী হয়ে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সাফুয়াত হোসেন (২৩), মাহমুদুল হাসান (২৫), আরাফাত হোসেন আকিব (২৩), সাব্বির হোসেন (২০), সফিজুল হক (২৮), মাসুদ (৪৮), মোফাজ্জল (২৭), মারুফ (১৮), আবু বক্কর সিদ্দিক (২৫), সাহেব আলী (৫৫), আঞ্জুমান (২১), স্মৃতি (২৮), শাহজাহান (৪২) ও সাগর (২৩)। তাদের সোমবার বিকেলে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে র্যাব বরমী চৌরাস্তা এলাকায় মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। পরে তার উস্কানিতে শতাধিক লোক দা, রামদা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে র্যাবের গাড়ি আটক করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নূর আলম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব, সদস্য সোহাগ হোসেন, গোলাম মোরশেদ ও সোবহান আলী আহত হন। পরে তারা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
শ্রীপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, নামীয় আসামিদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৮ জন পলাতক আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল