নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে সংহতি জানিয়েছেন দেশটির সেলিব্রেটিরা।
সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এই আন্দোলন শুরু করেছেন দেশটির তরুণ প্রজন্ম।
এরই মধ্যে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে শরিক হয়েছেন দেশটির সেলিব্রেটিরাও।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে দেশটির অভিনয় শিল্পীরা। বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে সরব হয়েছেন দেশটির অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠা এবং হিরা বনশা আচর্য। সড়কে বেরিকেড দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন আচর্য। বলেছেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত এসব স্থাপনা কেন অচল করে দেওয়া হচ্ছে।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি এসব রাস্তায় প্রতিনিয়ত হেঁটে বেড়াই আর এগুলো নিয়ে শুধু চিন্তা করি। তবে আজকের তরুণরা ভাবনার চেয়েও বেশি করেছে- তারা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কীভাবে এবং কেন এই ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। এর জন্য দায়ী কে? এটা এই তরুণদের জেগে ওঠার শুধু একটা কারণ।
ওই অভিনেতা আরও বলেন, আমরা আজ শুধু এসব ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে দেখছি না, বরং এর পেছনের কুশিলবদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে দেখছি। তিনি রাজনীতিবিদদের আরও অগ্রসর হওয়ার এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। কেননা তরুণরা আরও জবাবদিহিতা আশা করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শ্রেষ্ঠা এই অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে লিখেছেন, আমি প্রতিটি যুগে দেশকে দেখেছি এবং এর থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বাক স্বাধীনতা দমন করে ক্ষমতার লোভে স্বজনপ্রীতি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত হাজার হাজার তরুণকে কাজের জন্য দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। দুর্নীতি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। তরুণ এবং জাতির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিনয় শিল্পী।
সরকারের দুর্নীতি এবং ২৬টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার ঘোষণায় নজিরবিহীন আন্দোলন শুরু করেছে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। আন্দোলন দমনে শক্ত অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/একেএ