ইসরায়েলের হুমকি কিংবা আন্তর্জাতিক চাপ—কোনো কিছুতেই অস্ত্র ত্যাগ করবে না হিজবুল্লাহ।
রবিবার (৬ জুলাই) বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে সংগঠনটির নেতা নাঈম কাসেম এ ঘোষণা দেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “হুমকি দিয়ে আমাদের মাথা নত করানো যাবে না। প্রতিরোধই আমাদের অস্তিত্ব।”
হাজারো সমর্থকের সামনে দেওয়া এ ভাষণে কাসেম বলেন, “আমরা অস্ত্র ছাড়ব না, যতক্ষণ না ইসরায়েল আগ্রাসন বন্ধ করে।”
দীর্ঘদিন হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে থাকা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর সংগঠনের হাল ধরেছেন নাঈম কাসেম। তাঁর মতে, সংগঠনের অস্তিত্ব ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার পথ এখনও প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে ইসরায়েল যখন যুদ্ধবিরতি ভেঙে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “আমরা কেবল তখনই অস্ত্র রাখব, যখন ইসরায়েল আমাদের ভূখণ্ডে হামলা বন্ধ করবে। তারা যখন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তখন প্রতিরক্ষাই আমাদের অধিকার।”
গত বছরের যুদ্ধের পর লেবাননের নতুন সরকার বারবার বলছে, দেশের ভেতরে অস্ত্র রাখার অধিকার শুধু রাষ্ট্রের। একইসঙ্গে তারা চাইছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সব শর্ত মেনে চলুক ইসরায়েল।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক সোমবার বৈরুতে আসছেন। তিনি লেবানন সরকারের কাছে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার সময়সীমা চাইবেন বলে জানা গেছে। লেবানন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের লিতানি নদীর উত্তরে—ইসরায়েল সীমান্ত থেকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দূরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। একইভাবে ইসরায়েলেরও সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা থাকলেও তারা এখনো পাঁচটি কৌশলগত পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এমন পরিস্থিতিতে হিজবুল্লাহর সাফ বার্তা—হুমকি নয়, বরং ন্যায়বিচার এবং আক্রমণ বন্ধ হলেই শান্তি সম্ভব।
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম