গত ২২ জুন ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলো হলো- নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহান। হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন কক্ষে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এই হামলা পর্যবেক্ষণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই হামলার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, হামলার জবাব দিতে পিছপা হয়নি ইরানও। এক দিনের মধ্যে উপসাগরীয় দেশ কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগী হন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে। অবশেষে তার উদ্যোগেই ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের লাগাম টানা হয় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করে।
তবে ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানে হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানোর ঘটনা সমর্থন করছেন না বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক। সিএনএন/এসএসআরএসের সাম্প্রতিক এক জরিপে এই মনোভাব উঠে এসেছে। কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা হামলার আগে জরিপটি করা হয়েছে।
জরিপে প্রশ্ন ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ সমর্থন করেন কি না? জবাবে জরিপে অংশ নেওয়া ৫৬ শতাংশ মার্কিন বলেছেন, তারা এটা সমর্থন করতে পারছেন না। আর হামলার পক্ষে রয়েছেন ৪৪ শতাংশ মার্কিন। ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের মধ্যে ৮২ শতাংশ সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক দলের ৮৮ শতাংশ বলেন, এ পদক্ষেপ সমর্থনযোগ্য নয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ৫৮ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইরান আরও বড় হুমকি হয়ে উঠবে। মাত্র ১৫ শতাংশ মনে করছেন-ইরান বড় হুমকি হবে না। ৮৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মনে করছেন, ইরান আরও বড় হুমকি হয়ে উঠবে। রিপাবলিকানদের মধ্যে এ হার ৩০ শতাংশ।
ইরানে হামলা চালিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—এমনটা মনে করছেন জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ২২ শতাংশ মার্কিন। ২৩ শতাংশ মাঝামাঝিতে বা নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে ৩৮ শতাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। রিপাবলিকানদের মধ্যে ৫১ শতাংশ মনে করছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক। ডেমোক্র্যাটদের ৭১ শতাংশের মতে, ট্রাম্প সঠিক সিদ্ধান্ত নেননি। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/একেএ