আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) হটিয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট ভবন দখল করেছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বছর আগে আরএসএফের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে, যার ফলে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে সুদান।
দেশটির রাজধানী খার্তুম দীর্ঘদিন ধরে আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সেনাবাহিনী কয়েক মাস ধরে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবন পুনর্দখল করতে সমর্থ হয়েছে।
বাসভবনটি খার্তুমের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাসভবন পুনর্দখলের বিষয়টি সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় ‘রূপক’ বিজয়। কারণ এটি কেবল প্রতীকী গুরুত্বই বহন করে না, বরং রাজনৈতিক ও কৌশলগতভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে প্যারামিলিটারি আরএসএফের সদস্যরা এখনো রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট বাসভবন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় রাজধানীর ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
গৃহযুদ্ধের প্রভাব ও সেনাবাহিনীর অবস্থান
সুদানে দুই বাহিনীর সংঘর্ষের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। দেশটির অনেক নাগরিক খাদ্য সংকটে ভুগছে, অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছেন। সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্টের বাসভবন পুনর্দখল করায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তবে যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হতে আরও সময় লাগতে পারে।
দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আব্দেল্লাহ রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাসভবন পুনর্দখলের পাশাপাশি সেনারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করেছে। এছাড়া, সেনাবাহিনী আরএসএফের সদস্যদের দমন ও তাদের যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাসভবন পুনর্দখলের পর সেনারা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন। এছাড়া এক সেনাকে মাটিতে সেজদা দিতে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আশিক