ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও একটি এমকিউ-নাইন (MQ-9) রিপার ড্রোন লক্ষ্য করে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, হুতিদের ক্রমাগত হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বিকল্প পর্যালোচনা করছে। এরমধ্যে হুতিরা মার্কিন যুদ্ধবিমান ও ড্রোনে হামলা চালালো।
খবর অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে হুতিদের আবারও ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ (FTO) হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাইডেন প্রশাসন হুতিদের এই তালিকাভুক্তি বাতিল করেছিল। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শেষ দিনগুলোতে হুতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন, যা এখন পুনর্বহাল করা হলো।
এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে হুতিদের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস, তাদের অর্থায়ন বন্ধ এবং মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের, মিত্রদের ও লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর তাদের আক্রমণ বন্ধ করা এখন মার্কিন নীতির লক্ষ্য।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুতিরা ১০০টিরও বেশি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামাসের আকস্মিক আক্রমণে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়, যার জেরে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর হুতিরা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের স্বার্থে আঘাত হানা শুরু করে।
গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৬,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল