জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর দুইটায় জাতীয় প্লেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা, শিক্ষা-গবেষণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উলামায়ে কেরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জাতীয় নেতৃত্ববৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব, সাংবিধানিক পরিচিতি, সামাজিক রীতি-নীতি ও জনগণের চেতনার ভিত্তি হলো ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধকে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সরিয়ে ফেলা হলে তা প্রজন্মকে নৈতিকভাবে দুর্বল ও আত্মপরিচয়হীন করে তুলবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট রুহুল আমীন সাদীসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম বলেন, গান-বাজনা ইসলাম সম্মত নয়। শতভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর সন্তানদের নাচ-গানের শিক্ষা দিয়ে নৈতিক মূল্যবোধ ধ্বংস করা যাবে না। যদি এই জাতি বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয়, আমরা গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। এ সিদ্ধান্ত ইসলামি চেতনা ও জুলাই সনদের শহীদদের ত্যাগের পরিপন্থি। কারণ জুলাইয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সন্তানরাই জীবন দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী সকল সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ট্রান্সজেন্ডারসহ সমাজ ও পরিবার বিধ্বংসী সকল মতবাদ অনুপ্রবেশের পথ বন্ধ করতে হবে। নাহলে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই